সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে তিন জেলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ও রংপুর শহরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। আর দিনাজপুর সদর উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তিও মাদক বিক্রেতা ছিলেন। এ নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে ১৪৯ জন নিহত হলেন। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান, রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শামীম হোসেন (৪২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শামীম হোসেন রানীশংকলৈ উপজেলার নেকমরদ বাজার এলাকার মৃত আবদুল সাত্তারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নেকমরদ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় শামীমসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির সময় শামীম হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
দিনাজপুর অফিস জানায়, সদর উপজেলার খাড়িপাড়া থেকে আবদুর রাজ্জাক (৩৫) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উথরাইল ইউনিয়নের খাড়িপাড়ায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ। নিহত আবদুর রাজ্জাক দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর কনজকুড়ী গ্রামের মৃত কমির উদ্দিনের ছেলে। পুলিশের দাবি, রাজ্জাক মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন।
রংপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুকরুল আমেরতল তিন রাস্তার মোড়ে ‘বন্দকযুদ্ধে’ আবু মুসা বিষকালাই (২৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত মুসা ওই ওয়ার্ডের হনুমানতলা বস্তির আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তার নামে কোতোয়ালি থানায় মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রংপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, কুকরুল আমেরতল এলাকায় মাদক কেনাবেচার খবরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পুলিশও পাল্টা গুলি বরে। এতে ঘটনাস্থলেই মুসা মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, তিনটি গুলির খোসা, ১৭৩টি ইয়াবা ও ৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন