বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেডের শিবগঞ্জ টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি দীর্ঘ ১ বছর ধরে অচল হয়ে থাকা স্বত্তেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের টনক নড়ছেনা। ফলে এক্সচেঞ্জ এর অধিনে শতাধিক টেলিফোন অচল হয়ে পড়েছে। একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আর অন্যদিকে বিড়াম্বনায় স্বীকার হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি টেলিফোন গ্রাহকেরা। এছাড়া ফ্যাক্স ব্যবহারকারী টেলিফোন গ্রাহকেরা পড়ছে বিড়াম্বনায়। এবিষয়ে জানতে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার টেলিফোন (ডিইটি) গোলাম মুর্শেদের নম্বরে কয়েকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ টেলিফোন এক্সচেঞ্জের দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী এসএম আজিজুর রহমানের নম্বরে যোগযোগ করে তাকেও পাওয়া যায়নি। তবে টেলিফোনে এক্সচেঞ্জে কর্মরত একজন কর্মচারী জানিয়েছেন- টেলিফোন এক্সচেঞ্জের যেকোন ধরণের ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করার জন্য আনসার আলী নামে একজন অপারেটরকে ডিইটি দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন। এই সূত্র ধরে আনসার আলীর নম্বরে যোগাযোগ করা হলে শিবগঞ্জ এক্সচেঞ্জে ত্রুটির কথা স্বীকার করে বিভাগীয় প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। কিন্তু দায়িত্বরত কোন প্রকৌশলীকেও টেলিফোনে পাওয়া যায়নি। এদিকে শিবগঞ্জ এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘ ৬ মাস থেকে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের ব্যাটারী না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলেই উপজেলার শতাধিক টেলিফোন অচল হয়ে যায়। বিদ্যুৎ চলে যাওয়া অবস্থায় বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে টেলিফোনটি বন্ধ হয়ে যাবার ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা পড়ে বিপাকে। এব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী আজমল হক জানিয়েছেন- বিদ্যুৎ অফিসের টেলিফোনের ত্রæটি নয়, ত্রæটি রয়েছে শিবগঞ্জ টেলিফোন এক্সচেঞ্জের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন