দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ১৯ জুন এর পর থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত কোন কাউন্টারেই ঢাকা ফিরতি টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যাত্রিরা চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
গতকাল ১২ জুন মঙ্গলবার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সিওঅফিস বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বিভিন্ন কোচ কাউন্টারে গিয়ে জানা গেছে, এবার ৬ জুন থেকে ঢাকা ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৪ জুন পর্যন্ত ঢাকা ফেরার টিকিট শেষ হয়ে গেছে। এরপরও কর্মস্থলে যাওয়া ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা ফেরার টিকেট সংগ্রহ করতে বিভিন্ন ভাবে ধর্ণা ধরছে। অভিযোগ রয়েছে টিকেট প্রতি ১শ টাকা থেকে ২ শতাধীক টাকা বেশী দেওয়া হলে টিকেট পাওয়া যাচ্ছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলায় শ্যামলী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, টিয়া ট্রাভেলস্, শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহন, একতা পরিবহন, ডিপজল পরিবহন এর টিকেট কাউন্টারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ঢাকা ফেরার কোন টিকেট নেই। টিকেট না পাওয়ায় ঈদের আনন্দ পরিবারে সদস্যদের সাথে উপভোগ করতে নাড়ির টানে যারা গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন তারা পরেছেন বিপাকে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের দূর্ভোগও কম নয়। এ ব্যাপারে শাহ্ ফতেহ আলী পরিবহন কাউন্টারের স্বত্বাধিকারী শাহ্জাহান আলী “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, কর্তৃপক্ষ এবার তাদেরকে ১৯ তারিখ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ২ থেকে ১ টি করে টিকিট দিলেও তাও শেষ। একই সাথে তিনি জানান, সারা বছর কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রি করলেও এই ঈদ মৌসুমে টিকিট না পাওয়ায় যাত্রিদের সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কর্তৃপক্ষ টিকেট না দেওয়ায় এ ক্ষেত্রে তাদের আর কিছুই করার থাকে না। একই অভিযোগ শ্যামলী পরিবহনের স্থানীয় কাউন্টারের স্বত্বাধীকারী মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, একতা ও ডিপজল পরিবহন কাউন্টারের স্বত্বাধীকারী আজাহার আলীর ছেলে বাবলা সরদারের। এ দিকে ভুক্তভোগী অনেক যাত্রি অভিযোগ করেন, এখনো অনেক যাত্রি ঢাকা থেকে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে আসে নি। আগামী ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে তারাও চলে আসবে। যাত্রিরা না আসতেই কাউন্টার থেকে টিকেট শেষ হওয়ায় তারা ঢাকা ফিরতি যাত্রিরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে কর্মস্থলে যাওয়ার মানসিক চিন্তায় অনেকের ঈদের আনন্দ ¤øান হওয়ার আশংখাও সৃষ্টি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন