সাইদুল বিশ্বাস, সাঁথিয়া (পাবনা) থেকে
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর থেকে সাঁথিয়া উপজেলা সদর হয়ে বেড়া সড়কে ছোট-বড় হাজারো খানাখন্দে ভরা। এ সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক যানবাহন। এ যেন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। অতি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরও এ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে এলাকাবাসী। সড়কটির কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জেলা শহর থেকে সাঁথিয়া উপজেলায় ও বেড়া উপজেলায় যাতায়াতের বাস, ট্রাক, সিএনজি, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবহন চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ফলে সড়কে চলাচল করতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যাত্রীরা। মৃত্যুসহ পুঙ্গুত্ববরণ করতে হচ্ছে জন সাধারণের। সরেজমিনে দেখা যায়, মাধপুর হতে সাঁথিয়া উপজেলা সদর হয়ে বেড়া (সিএন্ডবি) পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার সড়কে হাজারো গর্ত। বর্ষা মৌসুম ছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে করে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যানবাহনগুলো চলাচল করছে। পাবনা সদর থেকে ছেড়ে আসা রীমা গাড়ির চালক মোমিন জানান, মাধপুর হতে সাঁথিয়া উপজেলা সদরে যেতে যেখানে ২০/২৫ মিনিট সময় লাগত সেখানে এখন ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। এ ছাড়াও মাধপুর হতে সিএন্ডবি হয়ে বেড়া উপজেলা সদরে যেতে ৪০/৫০ মিনিট সময় লাগত এখন সেখানে দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। নন্দনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহীন ইকবাল জানান, রাস্তাাটি ভেঙে কার্পেটিংসহ পাথর উঠে গর্ত হয়ে যাওয়ায় চলাচলে খুবই অসুবিধায় আছে এলাকাবাসী। রাস্তাটি সংস্কার বিশেষ জরুরি। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমান এ জানান, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীরা খুবই অসুবিধায় চলাচল করছে। তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা মাসিক সভায় জোড়ালোভাবে তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার টেন্ডার দিয়ে কার্যাদেশও আমরা দিয়ে দিয়েছি মীর হাবিবুল আলম নামের প্রতিষ্ঠানকে। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এদিকে ঝড় বৃষ্টিকে সামনে রেখে রাস্তাটি যতদ্রুত সম্ভব সংস্কার করে জন দুর্ভোগ দূর করার জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন