বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বসে নেই বিদ্রোহীরাও চষে বেড়াচ্ছেন মাঠ

প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে

আগামী ২৩ এপ্রিল পাবনার চাটমোহরের ৫ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেবার পর থেকেই আ.লীগ-বিএনপির দলীয় এবং বিদ্রোহীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যেন চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীদের ফুরসত নেই। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা। এ বছরই প্রথম দলীয় প্রতীকে (ধানের শীষ, নৌকা, লাঙ্গল) ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জয় নিশ্চিত করতে দলের হাই কমান্ড হতে উভয় দলেই প্রার্থী নির্বাচনে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দিলেও উভয় দলেই বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। পাবনার চাটমোহরের ৫ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদে ২৫ জন, সংরক্ষিত আসনের (মহিলা) পদে ৪৯ জন এবং সাধারণ সদস্য (পুরুষ) ১৬৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করে শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন নাই। আওয়ামী লীগের ৫, বিএনপি’র ৫, জাপা ২, স্বতন্ত্র ১১, ইসলামী আন্দোলনের ২জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সংরক্ষিত আসনের (মহিলা) পদে ০১ জন এবং সাধারণ সদস্য (পুরুষ) পদে ০৭ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। চেয়ারম্যান পদে মথুরাপুর ইউনিয়নের ৬জন, এরা হলেন সরদার আজিজুল হক (আ. লীগ), আবুল কালাম আজাদ (বিএনপি), আলহাজ রেজাউল করিম (স্বতন্ত্র), নূর মোহাম্মদ বেনজীর (স্বতন্ত্র), আব্দুর রাজ্জাক (স্বতন্ত্র)। ডিবিগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মো. নবীর উদ্দিন মোল্লা (আ. লীগ), আনিছুর রহমান (বিএনপি), মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র), আলম সরকার (স্বতন্ত্র), আইয়ুব আলী (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ),আব্দুর রাজ্জাক (স্বতন্ত্র) এবং আমিনুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)। ফৈলজানা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মো. হানিফ উদ্দিন (আ. লীগ), শাহজাহান আলী (বিএনপি), ফজর মহর আলী (স্বতন্ত্র), সুলতান মাহমুদ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ)। মূলগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মো. রাশেদুল ইসলাম বকুল (আ. লীগ), গিয়াস উদ্দিন (বিএনপি), কামরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মাহমুদুল ইসলাম (জাপা-এ)। পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মো. আজাহার আলী (আ. লীগ), রবিউল করিম তারেক (বিএনপি), আনোয়ারুল কবির (স্বতন্ত্র), আইয়ুব হোসেন (জাপা-এ)। উল্লেখ যে, যেসব প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা অধিকাংশই দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী। প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য প্রার্থীরা মাইক, পোস্টার, লিফলেটসহ বিভিন্নভাবে প্রাচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় ইমেজসহ প্রার্থীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ইমেজেরও অনেকটা কাজ করছে। বর্তমানে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রচারণা বেশ তুঙ্গে। শেষ পর্যন্ত্র ভোটের ময়দানে থাকবে কিনা দেখার বিষয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন