বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পাহাড়ি জনপদে এবার ঈদ আনন্দ ম্লান

রাঙামাটি থেকে সৈয়দ মাহাবুব আহমদ | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাঙামাটি পার্বত্য এলাকায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। এ জনপদে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ দুরাবস্থা। অচল হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। মানুষ এখন ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত। আর দুদিন পরেই ঈদ। এবারের ঈদ কেমন হবে মানুষ তা ভাবতেই পারছে না। ব্যাবসায়ীরা চরম হতাশায় ভোগছেন। নেই তাদের প্রত্যাশিত বেচাকেনা। দিনমজুরদের অবস্থা তো অধিক শোচনীয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এ অঞ্চলে কর্মরত বিভিন্ন জেলার মানুষরা ঈদে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে পাহাড়ি জনপদে এবারের ঈদ কেমন হবে তা মানুষ চিন্তা করতেও পারছে না। টানা বর্ষণে রাস্তাঘাট, পাহাড়-পর্বত, গাছ-পালা, বাড়িঘর সবখানেই ধসের ছোঁয়া লেগেছে। প্রায় লন্ডবন্ডই হয়ে গেছে পাহাড়ি জনপদ। বৃষ্টি এখনও থামছে না বরং বেড়েই চলেছে এর মাত্রা। এ অবস্থায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে আরও কোন বিপদের শঙ্কা সামনে অপেক্ষা করছে কিনা? এমন বিপর্যয়ের কারণে গরীবের আয় রোজগারের পথও বন্দ হওয়ার উপক্রম। টানা বৃষ্টির ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনমান এখন স্থবিরতা নেমে এসেছে। রাঙামাটি পার্বত্য এলাকা এমনিতেই পশ্চাদপদ একটি অঞ্চল। দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এ এলাকার জীবনাচরণ আর্থিকভাবে অনেকটা নিম্ন ও ভিন্নতর। যোগাযোগ ব্যবস্থাও জটিল। সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে এ পাহাড়ি অঞ্চলের জীবনযাত্রায় ভিষণ ব্যাঘাত ঘটায়। গেল কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে এই মাত্রাই ক্ষতির পরিমান অনেক বেশী। প্রশাসনের পক্ষ হতে জনগনকে সাহায্য সহযোগিতা করা হলেও কোন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনে কি সহজে স্বস্তি ফিরে আসতে পারে? এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এবারের ঈদ আয়োজন বিষয়ে জানতে চাইলে একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, এবার প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবে জনজীবন বেসামাল হয়ে পড়েছে। এখন জীবন টিকিয়ে রাখাই দায়। ঈদের বিষয়ে ভাবতেই পারছি না।
বলাবাহুল্য এই জনপদের এবারের ঈদ উৎসবের আমেজ এই অবস্থায় অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। রাঙামাটি পাহাড়ি মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝে এবারের ঈদের কোন আনন্দময় প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছেন না। চারিদিকে মানুষের মাঝে শুধু হতাশার ভাবাবেগের চাপ দেখা যায়।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক জানান, গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে জেলার বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার ২০টি গ্রাম ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ তো দূরের কথা, সবার চোখে মুখে হতাশার প্রতিচ্ছবি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন