শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সৈয়দপুরে ৬ মণ ধানে ১ কেজি ইলিশ

প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের সর্বত্র পহেলা বৈশাখ উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতির ধুম পড়েছে। ফলে মাছের বাজারে ইলিশের দাম সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সচ্ছল পরিবারগুলো এই মাছ কিনতে পারলেও কৃষকরা ১ কেজি মাছ কেনার জন্য ৬ মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী। বাজারে নতুন পিঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন ৮৫ টাকা এবং শাকসবজি প্রতি কেজিতে ২/৩ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১শ’ ৬০ টাকা কেজিতে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা সওদা করতে গিয়ে বিক্রেতাদের সাথে দাম নিয়ে চলছে বাক-বিত-া। অপরদিকে পহেলা বৈশাখ না আসতেই স্থানীয় হাটবাজারে ইলিশের আকাল পড়েছে। নীলফামারী জেলার বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের পাইকারী ও খুচরা বাজারে বিরাট দামের ফারাক লক্ষ্য করা যায়। পহেলা বৈশাখ সন্নিকটে হওয়ায় নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের হাটবাজারে ইলিশের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে। এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। তারপরেও ইলিশ মিলছে না। ফলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির লোকেরা পান্থা ইলিশ খাবার আয়োজন থেকে পিছু হটছে বলে জানা গেছে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, মাছের চালান আসছে কম, তাছাড়া মোকামে দামটাও একটু বেশি। সে কারণে বেশি দামে বিক্রি ছাড়া কোন উপায় নেই। এদিকে উপজেলার হাটবাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩শ’ ৫০ টাকায়। ফলে একজন কৃষককে এক কেজি ইলিশ মাছ কেনার জন্য ৬ মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলাভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠন ও দায়িত্ব অর্পন করা হলেও অজ্ঞাত কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। মাছ বাজারে কথা হয় উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল করিমের। তিনি জানান, পরিবারের চাপে ইলিশ কেনার জন্য বাজারে এসেছিলাম কিন্তু যে দাম কেনা সম্ভব নয়। ছেলেমেয়েরা বায়না ধরলে ২/৩শ’ টাকার মধ্যে জাটকা কিনে বাড়ি নিয়ে যেতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন