মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী গ্রামের কলেজছাত্রী (২১) নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। সোমবার রাতে ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। গত রোববার রাতে কলেজছাত্রীর মা স্নেহলতা বাদি হয়ে মেয়ে জামাতা বিশ্বজিত হাওলাদারসহ দুইজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাউদখালী গ্রামের কানাই চন্দ্র হাওলাদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে হীরা রানীর সাথে বরগুনা সদরের হেউলিবুনিয়া গ্রামের রবীন্দ্রনাথ হাওলাদারের ছেলে বিশ্বজিত হাওলাদারের প্রায় ২ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী বিশ্বজিত হাওলাদার স্ত্রী হীরা রানীকে আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রি কলেজে ভর্তি করে দেন। কলেজের হোস্টেলে থেকে হীরা রানী পড়াশুনা করতেন। এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে পৃথক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। মামলার পর স্বামীর সাথে স্ত্রী হীরার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। হীরা রানী বাবার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করে আসছিল। গত শনিবার প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় হীরা রানীর মা স্নেহলতা বাদি হয়ে হীরার স্বামী বিশ্বজিত হাওলাদার (২৬) ও তার সহযোগী দীলিপ হাওলাদার (৩৫)-কে আসামি করে গত রোববার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার রাতে অপহৃত কলেজছাত্রী হীরা রানীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার অপহৃতার জবানবন্দী ও মেডিকেলের জন্য জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে।
গাঁজা বিক্রেতা আটক
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তুষখালী থেকে জুয়েল হাওলাদার (১৯) নামের এক গাঁজা বিক্রেতাকে আটক করেছে। সোমবার রাতে উপজেলার মধ্য তুষখালী ঈদগাহ মাঠের বশিরের চায়ের দোকানের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। জুয়েল উপজেলার শাখারীকাঠী গ্রামের আ: জলিল হাওলাদারের ছেলে। মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন