শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শিবগঞ্জে স্কুল ছাত্রী শ্যামলী হত্যা নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৮, ১২:৩৪ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রশিকনগর শিরোটোলা এলাকার প্রবাসীর স্কুল পডুয়া মেয়ে শ্যামলী খাতুন হত্যার এক মাসেও কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। এমন কি ওইদিন খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ওই হত্যাকা- নিয়ে এখনো অন্ধকারেই রয়ে গেছে পুলিশ। গেল ২১ মে নিজ বাড়িতে খুন হন রশিকনগর শিরোটোলার নিজ শোয়ার ঘরে দুবাই প্রবাসী কবির হোসেনের মেয়ে শ্যামলী খাতুন। ওই ঘর থেকে শ্যামলীর মা ও বোনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শুরুতে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, চুরি করতে এসেই হত্যা করা হয় শ্যামলীকে। কারণ হত্যাকারী বা হত্যাকারীরা শ্যামলী এবার তার মা ও বোনের স্বর্ণলাঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পরে শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি হাবিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিষয়টি রহস্যজনক। শুধু চুরি করতেই হত্যাকারী বা হত্যাকারীরা বাড়িতে ঢুকেনি। কারণ ওই বাড়িতে একটি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য দামি জিনিসও ছিল। সেগুলো নিয়ে যায়নি। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু একমাস পার হয়ে গেলেও এখনো হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেনি। মামলার অগ্রগতি বলতে পুলিশ- স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে আটক করে। তবে তাদের রিমা-ে নিয়েও হত্যাকা- সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য মেলেনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) কবির হোসেন জানান, শ্যামলী হত্যাকা- নিয়ে এখনো অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত হত্যার কোনো ক্লুই খুঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ। যাদের আটক করা হয়েছে তারাও হত্যা সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারছেনা। তবে পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের। প্রসঙ্গত, গত ২১ মে প্রতিদিনের মত কবিরের স্ত্রী আলেয়া বেগম তার দুই মেয়ে চম্পা খাতুন ও শ্যামলী খাতুনকে নিয়ে ঘুমাতে যান। কিন্তু সেহেরীর সময় তাদের বাড়িতে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা খোঁজ নিতে আসেন। এ সময় তারা বাইরে থেকে দরজা খোলা ও কিছু আসবাবপত্র তছনছ অবস্থা দেখেন। শোয়ার ঘরে গিয়ে তিনজনকেই অচেতন অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে আলিয়ারা বেগম ও চম্পা খাতুনের জ্ঞান ফিরলেও শ্যামলী খাতুনের জ্ঞান ফেরেনি। শ্যামলীর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন