খরস্রোত সর্তার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে রাউজানের উত্তরসর্তা দুর্ঘাচরন সড়কসহ বহু বাড়ি ঘর। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মৌলানা দোস্ত মুহাম্মদ সড়কের মাইজভান্ডার শাহ এমদাদীয়া হলদিয়া ইউনিয়ন দায়রা শরিফ হতে দক্ষিণ দিকে গনিপাড়া তুলাবারিছা পর্যন্ত শত-শত মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম দুর্ঘাচরন সড়কটি সর্তার ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এলজিইডি আইডি ভুক্ত সড়কটির দীর্ঘ ৩ কিলোমিটারের প্রায় জায়গায় ভেঙে তচনছ হয়ে গেছে। কিছু অংশের ইটের সলিং তীব্র পানির স্রোতে ভেসে গেছে। সড়কটি পানির স্রোতে দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়ে জন ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সমগ্র এলাকার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে এ সড়ক ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই! এলাকাটি হলদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত হলেও সমগ্র ওয়ার্ড এলাকাটিকে সর্তাখাল গ্রাস করছে। প্রতিবছর সর্তার ভাঙনে পড়ে ৩ নং ওয়ার্ডের মত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, খালের দু-পাড় চিহ্নিত করে বøক না বসালে একসময় বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ভিটে-মাটি গিলে খাবে খরস্রোত সর্তা।
ভাঙা বেড়ি বাঁধের কারনে রাউজানসহ ফটিকছড়ির বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো বেড়ে যেতে পারে। ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জানান, সর্তার ভাঙনে তার ওয়ার্ডের মাইজপাড়া হতে ইউছুপের বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার এলাকা দিয়ে পানি ঢুকে পড়ায় সমগ্র এলাকা পাবিত হয়ে হুমকির মুখে পড়ে। তিনি জানান, অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জানান, সর্তার ভাঙনে বড়ুয়াপাড়া, পুরাতন বইজ্জ্যাহাট, চিন্নিবটতল, চান তৈলির বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তিনি জানান, পানি কমে গেলেও সর্তার পাড় ভাঙা কমেনি। হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে সর্তাখাল বয়ে যাওয়ায় প্রতি বর্ষায় আমার ইউনিয়নের ক্ষয়ক্ষতি বেশীই হয়। তিনি জানান, গত বছর আর এবছরের চলতি মাসে হয়ে যাওয়া বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে এলাকার দাবি দ্রæততার সহিত খালের বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হওক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন