সাতক্ষীরায় কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে হায়দার আলী নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐ ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদÐের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অপহরণের দায়ে হায়দার আলী ও মামলার অপর আসামি জিয়ারুল ইসলামকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদÐ ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদÐের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি হায়দার আলী সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের আমের আলীর ছেলে ও জিয়ারুল ইসলাম একই গ্রামের জাহাবক্সের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি হায়দার আলী, জিয়ারুল ইসলাম ও ইমন হোসেন ২০০৭ সালের ১৩ মার্চ তাদের এক প্রতিবেশীর কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর দিন ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা হায়দার আলীর বাড়িতে গেলে তাদের মেয়েকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হায়দার আলী বিয়ে করে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ গত ২১ মার্চ হায়দার আলীর বাড়ি থেকে ওই কিশোরী ও নোটারি পাবলিকের কাগজপত্র উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতার করে। এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনান্তে আসামি হায়দার আলীর বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদÐ ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদÐ এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদÐ ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদÐের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপহরণে সহযোগিতার অভিযোগে আসামি জিয়ারুল ইসলামকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদÐ ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদÐের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন ইমন হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন