মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

গফরগাঁওয়ে তিনদিনেও সন্ধান মিলেনি যুবদল নেতার

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 গফরগাঁও থানা পুলিশ পরিচয়ে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক মোঃ কামরুজ্জামান সোহাগকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছেন পরিবার। গত তিন দিন ধরে তার কোনো খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। গফরগাঁও থানা পুলিশ সোহাগকে আটকের কথা অস্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে গফরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে যুবদল নেতাকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়ার দাবি জানান তার পরিবারবর্গ। নিখোঁজ কামরুজ্জামান সোহাগ উপজেলার গফরগাঁও গ্রামের চানু মিয়ার ছেলে এবং উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক। সাংবাদিক সম্মেলনে কামরুজ্জামান সোহাগের স্ত্রী মিসেস সানজীদা সুলতানা জানান, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে গফরগাঁও থানার এসআই সাইফুল, এসআই আহসান হাবীব ও একজন কনস্টেবল গফরগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে এলাকাবাসীর সামনে সোহাগকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

এ সময় এসআই সাইফুল সোহাগের স্ত্রী সানজিদাকে সোহাগের নামে থাকা মামলার জামিনের কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলে। সোহাগের স্ত্রী সকাল ১১টায় থানায় উপস্থিত হয়ে রাত দশটা পর্যন্ত সোহাগকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য অথবা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণের জন্য এসআই সাইফুলের সঙ্গে দেন-দরবার করে। এ সময় থানার গারদে থাকা সোহাগের সঙ্গে সোহাগের স্ত্রী বেশ কয়েকবার কথাও বলে। রাত ১২টার পর থেকেই থানা পুলিশ অস্বীকার করে তারা সোহাগকে আটক করেনি। এরপর আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও সোহাগের কোনো সন্ধান পায়নি তারা। তাকে ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্ধান চাওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সোহাগের স্ত্রী ছাড়াও সোহাগের ৭ বছর বয়সী ছেলে আবীর, ভাই মিম ও শাশুড়ি মনোয়ারা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে গফরগাঁও থানার ওসি আবদুল আহাদ খান বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। মোবাইল বন্ধ থাকায় এসআই সাইফুলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতি দিয়েছেন ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন