মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১২ মামলার এক পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় সংঘবদ্ধদল হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ আসামীকে ছিনিয়ে নেয়। জোর পুলিশি সাড়াশি অভিযানে ৬ ঘন্টা পর ছিনিয়ে নেওয়া আসামীসহ ৫জনকে আটাক করেছে পুলিশ। হামলায় একজন এসআই ও একজন এএসআইসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহাত হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভেড়াছড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, ভেড়াছড়া গ্রামের রহমান মিয়ার ছেলে সোয়েব আহমদ (৩৮) ৯টি জিআর ও ৩টি সিআর মামলার ফলাতক আসামী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রেফতারী পরোয়ানা। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় ভেড়াছড়া গ্রামের লিয়াকত মিয়ার দোকানের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন ও উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। সোয়েবকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় এ গ্রামের জুবের মিস্ত্রীর বাড়ির সামনে আসা মাত্রা ৩০/৩৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামী সোয়েবকে ছিনিয়ে নেয়। হামলায় উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন (৫৭), উপ-সহকারী পরিদর্শক শিফকুল ইসলাম (৩৮), ৮৩৩ নং পুলিশ সদস্য মামুনুর রশীদ (২৫) ও ৭৫৫ নং পুলিশ সদস্য আব্দুল মজিদ (২৮) আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো: আশরাফুজ্জামানের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে ভেড়াছড়া গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে ৬ ঘন্টা পর ভোর রাত সাড়ে ৩টায় ছিনিয়ে নেওয়া আসামী সোয়েব আহমদসহ আরও ৪ জনকে আটাক করে পুলিশ। আটক অন্যরা হল লিয়াকত মিয়া (৩৭), লুৎফুর (৪০), শাহাবউদ্দীন (২৯) ও লাল মিয়া (৪৫)। হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আর ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে রোববার বেলা ৩টায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মোকতাদির হোসেন পিপিএম এ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোয়েব আহমদসহ রোববার ভোর রাতে গ্রেফতার হওয়া ৫জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন