পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জোয়ারের পানিতে ভাসছে সাত গ্রামের মানুষ। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের সহস্রাধিক পরিবার প্রতিদিন রাবনাবাদ নদীর দুই দফা জোয়ারের পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে বিধ্বন্ত বেড়িবাঁধের থেকে অস্বাভাবিক পানি প্রবেশ করে ওই ইউনিয়নের চারিপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মুন্সীপাড়া, নয়াকাটা, নাওয়াপাড়া, ছোট পাঁচ নং, বড় পাঁচ নং গ্রাম তলিয়ে যায়। এর ফলে ওইসব এলাকার মানুষ এখন জোয়ার ভাটার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জোয়ারের পানিতে সব থৈথৈ করছে। বাড়িঘরে থাকা তো দূরের কথা। চলাচলের রাস্তা পর্যন্ত ডুবে যায়। অনেকেই চলাচলের জন্য নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলা ব্যবহার করছে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে রয়েছে। স্কুলগামী ছেলে-মেয়েদের ভাটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। প্রায় এক যুগ ধরে এ সমস্যা নিয়েই জীবন যুদ্ধে বেঁচে আছে উপকূলীয় জনগণ।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শের-ই বাংলা নৌঘাঁটির জন্য ওই এলাকার অধিকাংশ জমি অধিগ্রহণের আওতায় থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড রাবনাবাদ পাড়ের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধটি মেরামতের কাজও করছে না বলে সূত্র জানিয়েছেন।
গৃহবধূ মাহমুদা জানান, জোয়ারের পানিতে বাড়িঘরসহ রান্নার চুলা পর্যন্ত ডুবে যায়। জোয়ারের সময় ঘরে বন্দী থাকতে হয়। আর ভাটায় কাঁদাপানি পেরিয়ে চলাচল।বাবুল শিকদার জানান, গ্রাম পর গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। রাবনাবাদ পাড়ের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নাই। তাদের জমিতে লোনা পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর তারেকুরজ্জামান তারা জানান, জনগনের দুর্ভোগ লাগবে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবুল খায়ের জানান, রাবনাবাদ পাড়ের অধিকাংশ জমি পায়রা বন্দরসহ নৌঘাটির জন্য অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন