নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা
কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম রফিক সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা তার কর্মী সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কেবল বাধাই প্রদান করছেন না উপরন্তু মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছেন। প্রার্থী রফিক সাংবাদিকদের জানায়, আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ একজন কর্মী হিসেবে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে নির্বিক সৈনিকের মতো দায়িত্ব পালন করেছি। আমি সবসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম এবং এলাকাবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। এলাকাবাসীর কাছে আমার ব্যাপক জনমত থাকায় আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আশুজিয়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইলেও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জনগণের চাপে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু তাহের ও তার কর্মী সমর্থকরা দিশেহারা হয়ে আনারস প্রতিকের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা প্রদান করে আসছে। আবু তাহেরের কর্মী সমর্থকরা গত ৮ এপ্রিল রামপুর বাজারে আমার মাইকিংয়ে বাধা প্রদান ও ভাংচুর করে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আমার কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। তারা ঘটনাস্থলে সমবেত হলে আবু তাহেরের লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার এস আই আঃ কাদেরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানান এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, এ ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না। কিন্তু আবু তাহের অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে একজন সরকারি কলেজের প্রভাষকসহ আমার ছোট ভাই কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে ৮ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমি এ ধরনের মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন