সন্ধ্যার পর শুধু নয়, এখন দিনের বেলাতেও ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও পুরান ঢাকার চানখাঁরপুলে প্রকাশ্যে যেভাবে মাদক সেবন চলছে তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে উপায় নেই। শাহবাগ থেকে তিন নেতার মাজার পর্যন্ত উদ্যানের পাশে দেদার মাদক সেবনের মহোত্সব চলে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চর্তুদিকে, এমনকী চানখাঁরপুল এলাকা মাদসেবীদের প্রকাশ্যে ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করতে দেখা যায়। শাহবাগের চারুকলা অনুষদের বিপরীত পাশে ফুটপাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যার পর গাঁজার গন্ধে টেকা দায়। কাজী নজরুল ইসলামের কবর এলাকাও এর বাইরে নয়। গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলে মাদকের বেচাকেনায় একটি চক্রের দৌরাত্ম্য এবং সন্ধ্যার পর অসামাজিক কার্যকলাপ, ছিনতাই ও প্রতারণা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদক বা নেশামুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়াও আগারগাঁও, বিজয় সরণি, বিমানবন্দর, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, দোয়েল চত্বর, পুরনো হাইকোর্ট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান এখন পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আড্ডায়। রাস্তার যে কোনো গাছপালা ও ঝোপঝাড়ে ভাসমান লোকজন ও টোকাইদের মাদক সেবন ও পলিথিনে আঠা জাতীয় পদার্থ নিয়ে নেশা করতে দেখা যায়। গেÐারিয়ার কাঠের স্কুল এলাকা, দয়াগঞ্জ, সূত্রাপুর, ভিক্টোরিয়া পার্ক, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, স্টেডিয়াম চত্বর, মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, বনানী, উত্তরা, গুলশান, ধানমÐি, আজিমপুর, লালবাগ প্রভৃতি এলাকায় মাদক সেবনকারীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। নগরীর সকল বস্তি মাদকের সরবরাহ কেন্দ্র ও ঘাঁটি। যা এখনই রুখতে হবে।
মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী
ফরিদাবাদ, গেÐারিয়া, ঢাকা ১২০৪
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন