কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনেক গ্রাহকরা অবৈধ পার্শ্ব সংযোগ সংযোজনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। জেলার তাঁত শিল্পসমৃদ্ধ কাজিপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি উপজেলার অনেকেই তাদের বাড়ি থেকে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তাঁত শিল্পে, বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। পার্শ্ব সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পুনঃবিক্রি করা সরকারি আইনের পরিপন্থী কাজ হলেও অনেকেই তা মানছেন না। আবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা এ ধরনের অবৈধ পার্শ্ব সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও জরিমানা করতে গিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হাতে নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছেন। বিশেষ করে তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও কাজিপুরে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকায় অনেকেই বৈধ সংযোগ না পাওয়ায় গ্রাহকদের মাঝে এই পার্শ্ব সংযোগ গ্রহণের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। সরকারি রাজস্ব ক্ষতি কমাতে এহেন অবৈধ পার্শ্ব সংযোগ বিছিন্ন করতে গিয়ে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নানাভাবে লাঞ্ছিত হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে না জানিয়েই অনেক গ্রাহক নি¤œমানের তার সংযোগে বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় প্রতিনিয়ত নানা স্থানে ঘটছে দুর্ঘটনা। জানা গেছে, বাসা-বাড়র বিদ্যুৎ ব্যবহারের মূল্য কম হওয়ায় অনেকেই তাদের বাড়ি থেকে দোকান, বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তাঁত শিল্প অবৈধ পার্শ্ব বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁফি দিচ্ছে। পোল্টিু ফার্ম, দোকান, পার্শ্ববর্তী বাড়ি, অটোরিকশার ব্যাটারী চার্জ ইত্যাদিতে সংযোগ প্রদান করায় ট্রান্সফমার ওভার লোডের কারণে তা হরহামেশা পুড়ে যাচ্ছে। সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জানান, বিদ্যুতের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু ব্যবহার বর্তমান সরকারের প্রধান অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার পূরণে আমরা কাজ করছি। এই ধরনের অবৈধ পার্শ্ববর্তী সংযোগ বন্ধে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু অনেক স্থানেই স্থানীয় রাজনৈতিক নেবৃবৃন্দের চাপের কারণে আমাদের হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন