বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ধামইরহাটে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা
নওগাঁর ধামইর হাটে চলতি ইরি-বোরো মওসুমে এবার প্রায় ১৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। সঠিক সময়ে সার, কীটনাশক প্রয়োগ ও ধান চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গেছে, নওগাঁর আদি বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত ধামইরহাট উপজেলায় এবার ১৫ হাজার ৮শত হেক্টর জমিতে উফশী জাতের এবং ১ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৩৫৭টি বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপের মাধ্যমে ৭ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে পানি সেচ প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট জমি বিদ্যুৎ চালিত এসটিডব্লিউ ১৭৭টি (অগভীর নলকূল) ও ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করা করেছে কৃষকগণ। জিরাশাইল, ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯, পারিজা, ধানী গোল্ড, তেজ প্রভৃতি জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষকগণ শুরু থেকে সঠিকভাবে বীজতলায় চারা গজানো ও ক্ষেতে চারা রোপণ করে। পরবর্তীতে ধান গাছের পরি”র্যা ও সঠিক সময়ে সার কীটনাশক প্রয়োগ ও পানি সেচ দেয়া হয়। এবার ধানগাছে রোগ বালাই তেমন নেই বললেই চলে। তবে কয়েকবার বৃষ্টি হয়ার কারণে জমিতে পানি সেচ দিতে কৃষকদেরকে বেগ পেতে হয়নি। বর্তমানে ধান গাছ থেকে শীষ বের হতে শুরু করেছে। মালাহার গ্রামের কৃষক বদিউল আলম বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। হাটনগর গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ বলেন, গত আমন মওসুমে আমন ধানের দাম না পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারপরও ইরি ধানের ন্যায্য দাম পাওয়ার আশায় এবার ধান চাষ করেছে কৃষকগণ। বর্তমান ধান গাছের চেহারায় বুঝা যাচ্ছে একর প্রতি প্রায় ৭০-৭৫ মণ হারে ধানের ফলন হতে পারে। এদিকে সরু ধান হিসেবে পরিচিত জিরাশাইল চালের ভাত খাওয়ার জন্য কৃষক দিন গুনছেন। কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, সরকার যদি ভারত থেকে চাউল আমদানি না করে তাহলে কৃষকগণ এবার ধানের ন্যায্য মূল্য পাবে। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.আলেফ উদ্দিন বলেন, ধান চাষের অনুকূল পরিবেশ ও ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় অন্যান্যবারের তুলনার এবার ধানের ফলন বেশি হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো.জামাল উদ্দিন বলেন, ধান চাষের অনুকূল পরিবেশ এবং অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ধান গাছের তেমন কোন রোগ বালাই নেই বললেই চলে। সঠিক সময়ে কৃষকগণ সার, কীটনাশক, পানি সেচ ও ধান গাছের পরি”র্যা এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রম ও কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করায় সার্বিকভাবে এ উপজেলায় এবার ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষকদেরকে তিনি লাভজনক ফসল গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি চাষ করার পরামর্শ প্রদান করছেন। যাতে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পায়। এদিকে গত আমন মওসুমে ধানের দাম কম হয়ায় কৃষকগণ কিছুটা চিন্তিত। ভারত থেকে চাউল আমদানি না করলে এবং সরকারিভাবে কৃষকদের নিকট থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় করলে তারা উপকৃত হবেন বলে অভিজ্ঞ মহল মত পোষণ করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন