বাংলাদেশে ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে অটিজম বিস্তারের হার প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন। এদের মধ্যে মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) প্রথম এবং একমাত্র ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) দেশব্যাপী পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইপনা’র আয়োজনে এক ডিসেমিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ডিসেমিনেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, আইসিডিডিআর,বি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারপার্সন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান।
অন্যান্যের মধ্যে বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ শিকদার, প্রফেসর ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. সাহানা আখতার রহমান প্রমুখ। জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করেন ইপনা’র পরিচালক প্রফেসর ডা. শাহীন আখতার। জরিপ নিয়ে প্রারম্ভিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইপনার ডা. জান্নাত আরা শেফা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৭ সালের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের ৮টি বিভাগের ৩০টি জেলার ৮৫টি এলাকা চিহ্নিত করে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী মোট ৩৮ হাজার ৪৪০ জন শিশুর উপর পরিচালিত এই জরিপে স্ক্রিনিং টুল হিসেবে প্রথমে ‘রেড ফ্লাগ’ পরে ‘এম-চ্যাট’ এবং সব শেষে ‘ডিএসএম-ফাইভ’ ব্যবহার করা হয়। এতে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন শিশুর অটিজম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে পল্লী এলাকায় প্রতি ১০ হাজারে ১৪ জন, শহর এলাকায় প্রতি ১০ হাজারে ২৫ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে আক্রান্ত মেয়ে শিশুর চাইতে ছেলে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি দেখা যায়। উল্লেখ্য, ইপনা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অটিজম ও অন্যান্য স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় সেবা ও পরামর্শ দেবার পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন