যশোরের চৌগাছায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রতন (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে চৌগাছা-যশোর সড়কের কয়ারপাড়া বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রতন চৌগাছা উপজেলার দিঘলসিংহা গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে।
চৌগাছা থানার ওসি খন্দকার শামিম উদ্দিন জানান, রাতে তারা সংবাদ পান চৌগাছা যশোর সড়কের কয়ারপাড়া নামক স্থানে দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় সেখানে অজ্ঞাত একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় লাশের পাশ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও এক প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নিহত রতনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলাসহ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। পরে হাসপাতাল মর্গে রতনের স্বজনরা লাশ শনাক্ত করে।
নিহতের পিতা আবু বক্কর ও মা ফরিদা বেগম দাবি করে জানান, আগে মাদক ব্যবসা করলেও রতন ২/৩ বছর ধরে তা ছেড়ে দিয়েছিল। তারা আরও জানান স্থানীয়ভাবে তারা বিএনপি সমর্থক। তাদের দাবি এ কারনেই তাকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে।মাগুরা জেলায় এক ব্যক্তির কাছে টাকা পেত রতন। গতকাল দুপুরে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার নামে তাদের ছেলেকে মোবাইলে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে রতন বাসা থেকে বের হয়ে গেলেও সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে না আসায় তার মোবাইলে বার বার ফোন করা হয়। কিন্তু সে ফোন না ধরলে তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকেন পরিবারের লোকজন।
পরে শুক্রবার ভোরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে পূর্বপরিচিত এক ব্যক্তি মোবাইলে জানায়, হাসপাতালে রতনের মতো দেখতে একজনের লাশ রয়েছে। সেখানে গিয়ে আমরা তার লাশ শনাক্ত করি।
স্থানীয়ভাবে তারা বিএনপি সমর্থক। তাদের দাবি এ কারনেই রতনকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন