কক্সবাজারে মাতামুহুরী ট্র্যাজেডির পাঁচ ক্ষুদে ফুটবলারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় রাত ১২টার দিকে নিখোঁজ দুই ক্ষুদে ফুটবলার সায়ীদ জাওয়াদ অরবি ও তূর্য ভট্টাচার্যের মরদেহ মাতামুহুরী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় দুই সহোদর আমিনুল হোসাইন এনশাদ ও আফতাব হোসেন মেহরাব এবং মো. ফারহানের লাশ মাতামুহুরী নদী থেকে জাল টেনে উদ্ধার করা হয়। চকরিয়া থানার ওসি বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ৫ জনের লাশ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আর্জেটিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলে নদীতে গোসল করতে নেমে কক্সবাজারে পাঁচ ব্রাজিল সমর্থক ক্ষুদে ফুটবলার নিখোঁজ হন। তারা পাঁচজনই চকরিয়া গ্রামার স্কুলের ছাত্র। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার চৌধুরী জানান, চকরিয়ার গ্রামার স্কুলের ছাত্ররা দুপুরের পর মাতামুহুরী ব্রিজের নিচে বালুচরে আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল সমর্থকদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে।
ফুটবল খেলা শেষে বিকাল ৫টার দিকে ছয় খেলোয়াড় নদীতে গোসল করতে নামলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই সময় একজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
মৃতদের মধ্যে সহোদর আমিনুল হোসেন এনশাদ (১৬) ও আফতাব হোসেন মেহরাব (১৪) চকরিয়ার বিশিষ্ট শিল্পপতি ও আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আলহাজ আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যখন সহোদরের লাশ বাড়িতে নেয়া হয়, তখন নেমে আসে নীরবতা, নিস্তব্ধতা। পিতা-মাতা, বোনসহ স্বজনদের আর্তচিৎকারে পুরো এলাকা স্তব্ধ হয়ে গেছে। চকরিয়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের স্টেশনপাড়ায় চলছে শোকের মাতম। চারদিকে কান্নার রোল ও আহাজারি। শোকাহত স্বজন ছাড়াও বিলাপ করছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। দুই ভাইকে হারিয়ে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন একমাত্র বোন সৃতি। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তাদের পিতা-মাতাও। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই কারোর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন