শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সৈয়দপুরে ট্রেনে চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্য বিড়ম্বনায় সাধারণ যাত্রীরা

প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চোরাকারবারী। প্রতিদিন শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু, হিজরা, প্রতিবন্ধী এ ট্রেনগুলোতে চোরাপথে ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকার মালামাল নিয়ে আসছে নির্বিঘেœ। ট্রেনগুলো যখন সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়ায় তখন এদের দৌরাত্ম দেখতে পাওয়া যায়। এরা হুমড়ি খেয়ে ট্রেন থেকে নামতে শুরু করে। নামার পর তাদের অবৈধ মালামালের পোটলা নিয়ে করতে থাকে ছুটাছুটি। প্রতিদিন এদের এ সকল কারবার চলে ট্রেনগুলোতে। যার ফলে ট্রেন যাত্রীরা বৈধভাবে টিকেট কেটে নিজ আসনে বসে গন্তব্যে যেতে খাচ্ছে হিমশিম। সেবা তো দূরের কথা কালো বাজারীদের গাঁদাগাঁদি করা নারী-পুরুষের ভিড়ে যাত্রী সাধারণ নাজেহাল হয়ে থাকে। ট্রেনের নিয়ম-কানুন রক্ষার জন্য রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী। রয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ব্যাপকভাবে প্রচারণা করে থাকে। কিন্তু যাত্রীরা সেবা পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন থেকে ট্রেনে চোরাকারবারীদের রাজত্ব চলে আসলেও কর্তৃপক্ষ কেন যেন নীরব ভূমিকায়। ইতিপূর্বে দায়িত্বে থাকা জেলা পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিতুমীর ট্রেনে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন কালোবাজারীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। সে সময় ট্রেনে কিছুটা নিয়ম শৃঙ্খলা ফিরে এসেছিল। কিন্তু এরপর আবার পুরোদমে চলছে আগের কারবার। এ ব্যাপারে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। সৈয়দপুর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধ ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছেন। যাত্রীরা অভিযোগ করেন ট্রেনগুলোতে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। যাত্রীদের সেবার মান নেই। ট্রেনে দায়িত্বে থাকা কর্তারা মেতেছে উপরি বখরার পিছনে। ফলে দিন দিন ট্রেনগুলোতে বেড়েছে চোরাকারবারীর সংখ্যা। অভিযোগ রয়েছে তিতুমীর ও খুলনা মেইল এ দুটি ট্রেনে এদের আসা যাওয়া বেশি। এদের ভাড়ার ব্যাপারেও রয়েছে কারসাজী। ট্রেনগুলোতে প্রতি দিন অর্ধ কোটি টাকারও বেশি অবৈধ মালামাল আসছে। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে চিনি, জিরা, ওষুধ, কসমেটিক, গোল মরিচসহ আরও অনেক কিছু। এসব অবৈধ কারবার বন্ধে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অনেক যাত্রী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন