চাঁদপুরে চলতি অর্থ বছরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে। গত অর্থ বছরে নদী থেকে ৩৫ হাজার ৪ শ’ ২৭ মে. টন ইলিশ উৎপাদন এবং পুকুর ও দীঘিতে ৩৭ হাজার ২শ’ ২১ মে. টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগের এক পরিসংখানে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, চাঁদপুরে বর্তমানে নিবন্ধিত জেলে ৫৭ হাজার এবং মৎস্য চাষির সংখ্যা ৩১ হাজার ১শ’ ১৫ জন। এর মধ্যে ৫১ হাজার জেলেকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করা হবে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের হিসাব মতে জেলায় পুকুর ও দীঘি রয়েছে ৪৯ হাজার ৮শ’ ৫৮টি। এসব পুকুর ও দীঘির মোট আয়তন ৯ হাজার ৩শ’ ৬৫ হেক্টর।
চাঁদপুর জেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে (জন প্রতি ৫৮ গ্রাম হারে) ৫১ হাজার ১শ’ ৪৭. ১শ’ মে. টন। যার পুরো চাহিদা প‚রণ করে বর্তমানে মাছের উদ্ধৃত্ত উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৫শ’ ১৭ মে. টন। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রথম খাঁচায় মাছ চাষ করা এ জেলায় বর্তমানে খাঁচার সংখ্যা রয়েছে ২ হাজার ৮০টি । এতে মাছ উৎপাদন হচ্ছে ৯শ’ ৫ মে. টন।
খাল, বিল ও বর্ষপ্লাবিত জলাশয় থেকে ইলিশ ব্যতিত অন্যান্য মাছ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৩শ’ ৯০ মে. টন। গলদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার ৭ শ’ ২০ মে. টন। পোনা মাছ চাষের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন হয়েছে ৭১ মে. টন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, চাঁদপুর মেঘনার অভয়াশ্রমে জাটকা সংরক্ষণ হওয়ায় এবার ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। সেই সাথে আগামী বছর পুকুর, দীঘি, ঝিলে ব্যাপক চাষাবাদ ও ডাকাতিয়া নদীতে খাঁচায় মাছ চাষের মাধ্যমে আরো উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন