দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় এসব ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সংঘটিত হয়।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন দুই মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মিমতানুর রহমান জানান, র্যাবের একটি টহল দল মতিঝর্ণা এলাকায় একটি মাইক্রোবাসকে থামার সংকেত দেয়। কিন্তু তারা গাড়ি না থামিয়ে র্যাব সদস্যদের দিকে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও তখন পাল্টা গুলি চালায়।
দুই পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মাইক্রোবাস থেকে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে ওই গাড়িতে দুইজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। র্যাব সদস্যরা ওই মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ৮৫ কেজি গাঁজা ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছে। নিহতদের একজনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর এবং অন্যজনের ২৫। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মাদক মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন হাসানপুর সরকারি কলেজের উল্টো দিকে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। নিহত খোরশেদ আলম (৪৮) দেবিদ্বার উপজেলার গংগানগর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশের ‘তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী’ খোরশেদ কুমিল্লা থেকে প্রাইভেটকারে মাদকের চালান নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল হাসানপুর কলেজের কাছে মহাসড়কে যানবাহনে তল্লাশি শুরু করে। রাত দেড়টার দিকে খোরশেদের প্রাইভেটকার সেখানে এলে পুলিশ থামায়। কিন্তু তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে খোরশেদ গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। খোরশেদকে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮০ কেজি গাঁজা এবং দুটি কার্তুজসহ একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে। প্রাইভেট কারটিও জব্দ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন