চাঁদপুর শহরের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে প্রায় ৩১ একর ভূমিতে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল নির্মাণে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হলে কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে মেডিকেল কলেজ করা হলে স্বাস্থ্য সেবার সুবিধা পাবেন চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ল²ীপুর ও নোয়াখালী জেলার মানুষ। কারণ নৌ-পথে রোগী নিয়ে আসার সুবিধা পাবে ৪ জেলার মানুষ। সড়ক পথেও আসার সুবিধা রয়েছে।
গত ১ এপ্রিল চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুরে একটি মেডিকেল কলেজ এÐ হসপিটাল নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে এমপিকে দেখিয়ে বলেন, আপনাদের জনপ্রতিনিধি একজন চিকিৎসক। তিনি আমার কাছে আগেই চাঁদপুরে একটি মেডিকেল কলেজ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কথা দিয়েছি, চাঁদপুরে মেডিক্যাল কলেজ করে দেবো। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæতি দ্রæত বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা এবং কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গণপূর্ত প্রকৌশলী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি দল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রনোয়নে উল্লেখিত স্থান পরিদর্শন করেন। মেডিকেল কলেজের জন্য নির্ধারিত স্থান ডাকাতিয়া নদী পাড় ইসলামপুর গাছতলা এলাকার বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, তাদের এলাকার প্রায় ৩১ একর ভূমি অধিগ্রহণের কথা লোকজনের কাছে শুনেছেন। কিন্তু তাদের সাথে এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে আলোচনা করেননি। প্রায় ৩০টি পরিবারের বসবাস ওই এলাকায়।
ওই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান পাঠান, শহীদুল ইসলাম খান জানান, আমাদের এলাকায় সরকার মেরিন একাডেমী করেছেন, তখনো আমাদের অনেক পৈত্রিক ভূমি চলে গেছে। এখন আবার মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করলে বসতভিটাও থাকবে না। এ ধরনের কাজ আমাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
অপরদিকে দেওয়ান বাড়ীতে রয়েছে প্রায় ২৫ টি পরিবারের বসতঘর। তাদের মধ্যে আবুল বাশার দেওয়ান ও ওমর ফারুক দেওয়ান জানান, ২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করলে তাদের বসতবাড়ীর সমস্যা হবে না। তবে এর বেশী অধিগ্রহণ করলে বসতবাড়ি ছাড়তে হবে। এ বিষয়ে তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ জামাল হোসেন জানান, এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত প্রকল্প। তাই সকলের বিশেষ নজরে এনে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে বর্তমানে নির্ধারণ করা স্থানে প্রায় ৩০টির মতো পরিবার রয়েছে। তাদের বিষয়টিও ভাবতে হবে। তারা যাতে জমির ন্যায্য মূল্য পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন