শ্বশুরালয় থেকে নেয়া যৌতুকের ২৫ হাজার টাকায় স্বাবলম্বী হয়ে ১৪ বছর পর জামাতা খোরশেদ যৌতুকের টাকা ফেরত দিলেন শশুরকে। এমন বিরল ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২নং পুটিজানা ইউনিয়নের বৈলাজান গ্রামে।
উপজেলার ২নং পুটিজানা ইউনিয়নের বৈলাজান গ্রামের রওশন আলী মন্ডলের বেকার ছেলে খোরশেদ আলম ২০০৪ সালে জেলা সদর উপজেলার রহমতপুর গ্রামের মোঃ খলিলুর রহমানের দ্বিতীয় মেয়ে মোছা. তাহমিনা আক্তার লাকীকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় শ্বশুর তার বেকার জামাতা খোরশেদকে যৌতুক হিসাবে ২৫হাজার টাকা দেয়। যৌতুকের সেই টাকায় যুবক খোরশেদ পল্লী চিকিৎসকের প্রশিক্ষন করে গ্রাম্য ডাক্তার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় শিবগঞ্জ বাজারে ঔষথের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। পল্লী চিকিৎসার পাশাপাশি বাজারে ঔষধের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে খোরশেদ এখন স্বাবলম্বী।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর চলতি মাসে খোরশেদ আলম তার যৌতুকের সর্ম্পূন টাকা ফেরত দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ।
এ ব্যাপারে খোরশেদ আলম বলেন ,আমি যখন বিয়ে করেছি তখন আমি বেকার ছিলাম । যৌতুকের টাকা দিয়ে গ্রাম্য ডাক্তার এর কোর্স করেছি। সকলের দোয়া আছে, আমি এখন স্বাবলম্বী হয়েছি আমাকে আল্লাহু তায়ালা ২ মেয়ে ১ ছেলে দিয়েছেন। তাই যৌতুক নেয়া মহা অপরাধ এটা আমি বুঝতে পেরে যৌতুক বাবদ ২৫ হাজার টাকা শশুরকে ফেরত দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। তারা আমাকে দোয়া করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন