নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা
প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নীলফামারী সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, হাট-বাজারে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ নানা প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়া পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে ইউনিয়নগুলোর প্রতিটি রাস্তা-ঘাট ও পাড়া-মহল্লা। আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত হবে নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর, কচুকাটা, চড়াইখোলা, সোরারায় ও সংগলশী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দি¦তা করছে। এর মধ্যে সোনারায়ে ৬ জন, রামনগরে ৬ জন, কঢ়ুকাটায় ৬ জন, সংগলশীতে ৪ জন ও চড়াইখোলায় ৭ জন। তিনটি ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। এদিকে, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে ইউনিয়নগুলো। প্রার্থীরা দিনরাত সমানেই ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রতিদিন কোনো না কোনো ওয়ার্ডে করছেন উঠান বৈঠক। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শুনাচ্ছেন নানা আশ্বাসের বাণী। চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের পদচারণায় এখন মুখর প্রতিটি ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লা। অপরদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে কদর বেড়েছে সাধারণ ভোটারদের। যে প্রার্থী যাকে যেখানে পাচ্ছেন শুভেচ্ছা বিনিময়সহ আদর আপ্যায়ন করছেন। তবে ভোটাররা জানান, প্রার্থীদের নানা আশ্বাসের বাণী ও মিষ্টি কথায় না ভুলে এবার দেখেশুনে যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে বেছে নেবেন। ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ৪টি ইউনিয়নে আ.লীগ-বিএনপি ও ১টিতে আওয়ামী লীগের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের লড়াই হবে। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্র্মকর্র্তা আজাদুল হেলাল জানান, এখন পর্যন্ত ৫টি ইউনিয়নে কোনো ধরনের নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। সব প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন