শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নতুন করে নির্ধারণের জন্য গঠিত মজুরি বোর্ডের তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে স¤প্রতি। ৬ সদস্য বিশিষ্ট এ বোর্ডের একজন চেয়ারম্যান ও ৫ জন সদস্য। বোর্ড গঠন করা হয়েছে গত জানুয়ারি মাসে। ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বোর্ডকে বলা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য আগামী ডিসেম্বর নাগাদ নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা। বোর্ডের সর্বশেষ বৈঠকে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ১২,০২০ টাকা দাবি করেছেন। আর মালিক পক্ষের প্রতিনিধি ৬,৩৬০ টাকা প্রস্তাব করেছেন। শ্রমিকরা বোর্ড গঠনের পর ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা দাবি করে আসছে। মজুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘২০১৩ সালে ন্যূনতম মজুরি করা হয় ৫,৩০০ টাকা। প্রতি বছর শতকরা ৫ ভাগ ইনক্রিমেন্টের বিধান ছিল। তাতে ইনক্রিমেন্টসহ পাঁচ বছরে যে ন্যূনতম মজুরি হয়েছে, তা এখন মালিকরা যে প্রস্তাব করেছেন তার চেয়ে বেশি। তাই এখন তাঁরা যে মজুরি প্রস্তাব করেছেন, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না’। এদিকে, এ বছরের জানুয়ারিতে অক্সফাম এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বের সাতটি প্রধান তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি সবচেয়ে কম। বাংলাদেশে একজন সাধারণ মানুষের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য নিম্নতম মজুরি প্রয়োজন ২৫২ মার্কিন ডলারের সমান অর্থ। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের একজন শ্রমিক মজুরি পান প্রায় ৬৭ মার্কিন ডলারের সমান অর্থ।
ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন এক বিবৃতিতে অতিসত্বর গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১৬ হাজার টাকা করার আহŸান জানিয়েছে। একই সঙ্গে শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সরকার ও ব্র্যান্ডগুলোকে ভূমিকা নেওয়ার আহŸানও জানিয়েছে। এছাড়া, ওয়ার্কার্স রাইটস কনসোর্টিয়াম (ডবিøওআরসি), ইন্ডাস্ট্রিআল গেøাবাল ইউনিয়ন ও ইউনি গেøাবাল ইউনিয়নও ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য ইতোপূর্বে ২০১৩ সালে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫,৩০০ টাকা, যা ঐ বছরের ডিসেম্বর হতে কার্যকর করা হয়েছে। এই ৫,৩০০ টাকার মধ্যে মূল মজুরি ৩ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ১২০০ টাকা এবং চিকিৎসা, যাতায়াত ও খাদ্য ভাতা ১১০০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পরপর নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার ব্যাপারে সরকারের নিম্নতম মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলামের অভিমত হচ্ছে, ‘আমরা মূলত যে বিষয়গুলো বিবেচনা করি, তার মধ্যে রয়েছে শ্রমিকদের জীবনযাপনের ব্যয়, জীবনযাপনের মান, প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন খরচ, উৎপাদনশীলতা এবং দ্রব্যের মূল্য, মূল্যস্ফীতি এগুলো দেখা হয়। এর সঙ্গে কাজের ধরণ অর্থাৎ সেই কাজে ঝুঁকি কতটা আছে এবং মালিক পক্ষের কতটা সামর্থ্য আছে, সেগুলোও বিবেচনায় নেয়া হয়। সেই সঙ্গে দেশের আর্থিক-সামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য দেশে এ ধরনের পেশায় কী ধরণের মজুরি দেয়া হয়, সেগুলোও পর্যালোচনা করে থাকে মজুরি বোর্ড।’ এই অবস্থায় বোর্ড ন্যূনতম মজুরি যত টাকা নির্ধারণ করে সুপারিশ পেশ করবে, সরকার তা হুবহু বাস্তবায়ন করবে, না এদিক-ওদিক করে আদেশ জারি করবে, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ সরকার ঘোষিত মজুরি মেনে নিবে কি-না কিংবা কোন এক পক্ষ মানি না মানবো না, মিলের চাকা ঘুরবে না বলে আন্দোলন শুরু করে দিবে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে গার্মেন্ট মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের নতুন ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কম-বেশি অন্য সেক্টরেও আলোচনা হচ্ছে। কারণ, গার্মেন্ট খাত এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থিক খাত। প্রথমটি কৃষি খাত। গার্মেন্ট খাতে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছে, যার ৯০% প্রান্তিক নারী। এছাড়া এর লিংকেজ খাতেও কয়েক লাখ শ্রমিক কর্মরত আছে। গত অর্থবছরে দেশের মোট রফতানি হয়েছে ৩,৬৬৭ কোটি ডলার। এর মধ্যে পোশাক খাতের আয় ৩,০৬১.৪৭ কোটি ডলার। যা মোট রফতানির প্রায় ৮৪%। ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই গার্মেন্ট খাত নিয়ে দেশবাসীর আশা-আকাক্সক্ষা ব্যাপক। গার্মেন্ট খাতের এই অবস্থায় পৌঁছতে সংশ্লিষ্ট সকলকেই ব্যাপক চড়াই-উতরায় অতিক্রম করতে হয়েছে। যেমন: রানা প্লাজা ধ্বংসসহ কয়েকটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং তাতে ব্যাপক জানমালের ক্ষতির পর গার্মেন্ট খাত বড় রকমের হুমকির মুখে পড়ে। পশ্চিমা ক্রেতা সংগঠনগুলো এই শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশের উন্নতি ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার দাবি জানায়। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত যৌথ পরিদর্শন টিম পর্যায়ক্রমে প্রায় সব কারখানা পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। সে প্রতিবেদনের সুপারিশ মোতাবেক যেসব কারখানা সংস্কার করে নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব, সেসব কারখানা সংস্কার করা হয়েছে। আর যেসব কারখানা সংস্কার করেও নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব নয়, সেসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার সংখ্যা ৩ হাজারের অধিক, যা মোট শিল্পের অর্ধেকের বেশি এবং তাতে অসংখ্য শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া বিষয়টি দেশের জন্য লজ্জাজনকও। কারণ, দেশের শিল্প কারখানার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। আমরা নিজেরা তা নিশ্চিত করতে পারি না! অপরদিকে, বিদেশিরা আমাদের শ্রমিকদের জীবন বাঁচানোর জন্য খুবই দরদ দেখান। কিন্তু তাদের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য গার্মেন্ট পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করেন না। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দিয়ে এই খাতকে বড় রকমের সংকটে ফেলেছে। দেশটি আমাদের বড় বাজার। তাই জিএসপি সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেক দেন দরবার করার পরও দেশটি সে সুবিধা প্রদান করেনি। আর তা করবে বলে মনে হয় না। এই অবস্থায় ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারভুক্ত হতে চলেছে। এটা অর্জিত হলে জিএসপি সুবিধা আর কোন বাজারেই থাকবে না। তখন পুরো প্রতিযোগিতা করেই আমাদের টিকে থাকতে হবে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার প্রস্তুতি এখন থেকেই গ্রহণ করতে হবে। আর সে প্রস্তুতির প্রধান বিষয় হচ্ছে, পণ্যের মান ও মূল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের করা। ইতোমধ্যেই গার্মেন্টের সকল সমস্যা নিরসন কল্পে সংস্কার সমন্বয় সেল (আরসিসি) গঠন করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী কদিন আগে জানিয়েছেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও কারখানা সংস্কারের কাজ করা অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের অনুপস্থিতিতে সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আরসিসি পুরোপুরি প্রস্তুত।
গার্মেন্ট খাতের পণ্যের মান ও মূল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের করার জন্য দক্ষ শ্রমিক, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, কারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা, উন্নতমানের মেশিনারি ইত্যাদি আবশ্যক। কিন্তু উপযুক্ত মজুরি ছাড়া দক্ষ শ্রমিক পাওয়া সম্ভব নয়। আপাতত পাওয়া গেলেও তা সাময়িক। কারণ, অন্যত্র বেশি মজুরির চাকরি পেলে চলে যাবে শ্রমিকরা। উপযুক্ত মজুরি না পেলে শ্রমিকদের এই যাওয়া-আসা অব্যাহতই থাকবে। ঘন ঘন শ্রমিক পরিবর্তন কারখানার কাজের ও ভাবমূর্তির জন্য চরম ক্ষতিকর। তাই গার্মেন্ট শ্রমিকদের নতুন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা প্রয়োজন শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করা হয় জীবন নির্বাহের ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। তাদের বর্তমান মজুরী সে মোতাবেক নয়। ঢাকা বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর দেশের গার্মেন্ট কারখানার বেশিরভাগই ঢাকা ও তার আশে-পাশের শহরে অবস্থিত। বাকী কারখানা বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। সেটাও ব্যয়বহুল শহর। দ্বিতীয়ত: সরকারি শ্রমিক/কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ন্যায়ানুগ করা দরকার। আর এটা মালিক পক্ষেরও সাদরে গ্রহণ করা উচিৎ। কেননা, তারা কয়েক লাখ বিদেশি লোক দিয়ে কারখানা পরিচালনা করছে, যাদের বেতন ও সুবিধাদি দেশের অন্য সব খাতের লোকদের চেয়ে বেশি। এমনকি তারা যে বেতন পাচ্ছে, তা তাদের দেশে প্রাপ্ত বেতনের চেয়েও অনেক বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তবুও মালিকরা তা বিনা দ্বিধায় দিচ্ছে। আর বিদেশিদের যদি উচ্চ বেতন দেওয়া যায়, তাহলে দেশি শ্রমিকদেরও দেওয়া সম্ভব।
দেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য আরও কিছু বিষয় আছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা হচ্ছে চাকরির স্থায়ী নিয়োগ পত্র। কিছু দিন আগে এক বেসরকারি সংস্থার এক গবেষণা প্রতিবেদন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায় যে, গার্মেন্ট শ্রমিকদের মধ্যে ৭০-৮০% এর কোন স্থায়ী নিয়োগপত্র নেই। মালিকরা তা দেয় না। ফলে তারা চাকরি ছেড়ে দিলে কিংবা অবসর গ্রহণ করলে অবসরজনিত কোন সুবিধা পায় না। আইনগত কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারে না, স্থায়ী নিয়োগ পত্র না থাকায়। ফলে এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ আছে। এ অসন্তোষের কারণে এবং পশ্চিমা ক্রেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কারখানায় ‘কল্যাণ পরিষদ’ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। শিল্পের উন্নতির জন্যই শ্রমিকদের উন্নতি ঘটাতে হবে। নতুবা তাদের কাছ থেকে ভালো কাজ পাওয়া যাবে না। শ্রমিকদেরও উচিৎ শিল্পকে প্রাণের মতো ভালবেসে, পরিবেশ অনুকূল রেখে উৎপাদন বৃদ্ধি করা। কারণ, শিল্প বাচলে শ্রমিকরা বাচবে, জীবনের উন্নতি ঘটবে। এমনকি তাদের সন্তানদেরও। তাই শিল্পকে রক্ষা করা, তার উন্নতি করা প্রতিটি শ্রমিকের নৈতিক দায়িত্ব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেশের শ্রমিকরা সরকারি ও বেসরকারি খাতে কর্মরত আছে। সরকারি খাতের শ্রমিকদের জন্য মজুরি নির্ধারণ করে জাতীয় মজুরি এবং উৎপাদনশীলতা কমিশন, যা পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নির্ধারণ করা হয়। পক্ষান্তরে বেসরকারি খাতের শ্রমিকদের জন্য মজুরি নির্ধারণ করেন সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ড। এ প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত দেশের ৪২টি বেসরকারি খাতের শ্রমিকদের জন্য মজুরি নির্ধারণ করেছে বলে জানা গেছে। এ বোর্ড সরকারি খাতরে মত নিয়ম মাফিক তথা পাঁচ বছর পরপরই মজুরি নির্ধারণ করে না। বেসরকারি খাতের শ্রমিকরা নুতন মজুরী জন্য তীব্র আন্দোলন গড়ে তুললে সরকার তাদের জন্য নতুন মজুরি নির্ধারণ করার জন্য বোর্ডকে দায়িত্ব দেয়। তাও খাত ভিত্তিক। অতঃপর উক্ত বোর্ডের সুপারিশ মোতাবেক সরকার মজুরি নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট খাতের। অর্থাৎ বেসরকারি খাতের সব শ্রমিকের জন্য নিম্নতম মজুরি নির্ধারণ করা হয় না। নির্দিষ্ট খাতের শ্রমিকদের জন্য তা করা হয়। উপরন্তু যে মজুরি নির্ধারণ করা হয়, তা সরকারি খাতের শ্রমিকের মজুরির চেয়ে অনেক কম। ফলে সরকারি ও বেসরকারি খাতের শ্রমিকদের মজুরির ব্যবধান বেশ বড় সর্বপরি সরকারি খাতের শ্রমিকদের অবসরের পর নানা সুবিধাদি আছে। কিন্তু বেসরকারি খাতের শ্রমিকদের অবসর গ্রহণের পর শূণ্য হাতে বাড়ি যেতে হয়! এ ব্যাপারে শ্রমিকদের নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রায় ৬.৭৫ কোটি শ্রমিক রয়েছে। তন্মধ্যে ১.২৫ কোটি প্রাতিষ্ঠানিক খাত ভূক্ত। তারা ৪৩টি খাতভূক্ত এবং তাদের জন্য এ পর্যন্ত ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। বাকী অর্ধশতাধিক খাতের জন্য ন্যূনতম মজুরি কাঠামো নেই। অর্থাৎ নির্ধারিত খাতেরবাইরে ৮০% শ্রমিক রয়েছে, যাদের কোনো নির্ধারিত মজুরি নেই। অর্থাৎ সরকারের আইনেই মজুরি বৈষম্য আছে। এই বৈষম্য দূর করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তাই দেশের সকল শ্রমিককে নিম্নতম মজুরির আওতাভুক্ত করা এবং সরকারি ও বেসরকারি তথা সকল শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি ও সুবিধাদি ন্যায়সঙ্গত করা আবশ্যক।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
soriful islam ২৬ জুলাই, ২০১৮, ৮:১৫ পিএম says : 0
এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেনright
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন