সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আজো মজুরি বৈষ্যমের শিকার নারী

সাতক্ষীরা থেকে আবদুল ওয়াজেদ কচি | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম


সাতক্ষীরায় কর্মক্ষেত্রে নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষির পাশাপাশি, হস্তশিল্প, কারিগর, নির্মাণ ও গ্রামীন উন্নয়নে পুরুষের সমান তালে কাজ করছে নারীরা। দিন দিন উপকুলীয় এ জেলাটিতে কৃষিতে পুরুষের চেয়ে নারী শ্রমিকের চাহিদা বাড়ছে। তুলনামুলক নারী শ্রমিকের পারিশ্রমিক কম থাকায় মহাজনরা নারী শ্রমিকের শ্রম নিতে সাচ্ছন্দবোধ করেন। এতে উৎপাদন খরচ হ্রাস পাচ্ছে। নারীদের অভিযোগ পুরুষের সমান কাজ করলেও তারা মজুরি বৈষ্যম্যের শিকার। তারা পুরুষের তুলনায় অর্ধেক মজুরি পান। যদিও জেলায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর মতে ২০১১ সালের জরিপে সাতক্ষীরা জেলা মোট জনসংখ্যা ছিল ১৯ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১০ লক্ষ ৩ হাজার ১৮২ জন এবং পুরুষের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৭৭ জন। সাতক্ষীরা জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে বর্তমানে জেলাতে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা ২৩ লাখের কাছাকাছি। পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। জেলায় প্রায় ৪ লক্ষ নারী বছরের বিভিন্ন সময়ে শ্রম বিক্রি করেন। আর দুই লাখ নারী সারা বছরই শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। প্রায় ৪ লক্ষাধীক নারী স্বামীর গৃহে কাজ করেন। ২ লক্ষাধীক নারী লেখাপড়ার কাজে কর্মরত। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
কয়েকজন নারীর সাথে কথা হলে তারা জানান, সমাজে নারী হল-অবহেলা, বৈষম্য আর নির্যাতনের শিকার ভাগ্য বিড়ম্বিত এক জীবন। যে জীবনে সংকট নিত্যদিনের, নেই সমাধান।

জেলা মহিলা অধিদপ্তর, সমাজ সেবা, যুব উন্নয়ন, বিনেপোতা টিটিসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এনজিও নারীদের অধীকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। নারীদের শিক্ষিত করতে সরকার ডিগ্রী পর্যন্ত বিনামুল্যে পড়া লেখা নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে নারী বৈষম্য কমাতে সকলের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা দরকার। বাল্য বিবাহ বন্ধ হলে নারী নির্যতন হ্রাস পাবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। আর নারীদের কাজকে খাটো করে না দেখে তাদের মুল্যায়ন করা দরকার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন