মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সোহরাব (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
র্যাবের দাবি, নিহত সোহরাব বাঘড়ার তাজেল বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। সোহরাবের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, পুলিশ অ্যাসল্ট, অপহরণসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। তিনি বাঘড়ার ত্রাস তাজেল বাহিনীর প্রধান তাজেলের বড়ভাই ও বাঘড়া ইউনিয়নের রৌদ্রপাড়া গ্রামের ইউনুচ বেপারির ছেলে।
রোববার ভোররাতে শ্রীনগর উপজেলার ছত্রভোগ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, ৬০০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ১৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে।
র্যাব-১১ ভাগ্যকুল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মহিতুল ইসলাম জানান, র্যাবের কাছে তথ্য আসে একটি বড় ধরনের মাদকের চালান শ্রীনগরের ছত্রভোগ এলাকা দিয়ে পাচার হবে। এর ভিত্তিতে ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে র্যার-১১ ভাগ্যকুল ক্যাম্পের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে অন্যরা পালিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে লাশটি শ্রীনগরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সোহরাব হোসেনের বলে শনাক্ত করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে র্যাবের এএসআই রেজাউল ইসলাম ও সিপাহি মো. কামরুজ্জামান আহত হয়। তাদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এএসপি মহিতুল ইসলাম আরও জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে সোহরাব তার ভাই তাজেল বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে আড়িয়াল বিলসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, ডাকাতি, অপরহণ ও মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন