শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আমতলী কলেজ শিক্ষকদের স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ

সাবেক অধ্যক্ষের দুর্নীতির কারণে

আমতলী (বরগুনা) থেকে তালুকদার মোঃ কামাল | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

আমতলী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মজিবর রহমানের দুর্নীতির কারণে ২০ জন শিক্ষক কর্মচারী সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে অবসর গ্রহণ করেছেন। গত ২০১৩ সালে আমতলী ডিগ্রি কলেজ সরকারি কলেজে উন্নীত হওয়ার পর এই ছয় বছরে ১৪ মার্চ ২০১৪ তারিখে মৃত্তিকা বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক মোঃ জাহাঙ্গির ইসলাম সিকদার, ৩১ ডিসেম্বও ২০১৪ তারিখে শরীরচর্চা শিক্ষক আবদুস সোবাহান, ২০ মার্চ ২০১৫ তারিখে মৃত্তিকা বিষয়ের উপাধ্যক্ষ কাজী রাজ্জাকুল ইসলাম, ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মো. আনোয়ার হোসেন, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. শামসুল আলম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে ইতিহাস বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন খান, ২৮ জুন ২০১৬ তারিখে বাংলা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক রেহেনা বেগম, ৩১ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. হারুন-অর-রশিদ, ৪ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক সৈয়দ কবির আহমেদ, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক আ. মজিদ মিয়া, ৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আ. লতিফ মিয়া, ৪ মে ২০১৮ তারিখে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন বিশ্বাস, ১৯ মে ২০১৮ তারিখে লাইব্রেরিয়ান মো. সুলতান আহমেদ, ২৭ মে ২০১৮ তারিখে বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মো. সুলতান আহমেদ (মৃতু), ১৯ জুন ২০১৮ তারিখে মনোবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মো. মোজাম্মেল হক জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ৩১ মে ২০১৫ তারিখে অফিস সহকারী মো. আবুল কাশেম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে অফিস সহকারী মো. আ. রশিদ চতুর্থ শ্রেণির ১৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে ধীরেন চন্দ্র, ১১ মে ২০১৮ তারিখে মো. নুরুল ইসলাম, ২৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মো. ফকর উদ্দিন অবসরে যাবেন।
শিক্ষক কর্মচারী সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে অবসর গ্রহণ করেছেন।
কলেজটি সরকারিকরণের পর তৎকালীন অধ্যক্ষ মজিবর রহমান ৬৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর কাছ থেকে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বেতন স্কেল পরিবর্তন, ইনক্রিমেন্ট, ঘরভাড়া, মেডিক্যাল, ঈদবোনাস, সন্তানদের শিক্ষাভাতা, অবসরভাতা, পদোন্নতি ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা আদায় করার জন্য তদবিরের কথা বলে কলেজ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন এই টাকা তিনি তদবিরে না লাগিয়ে আত্মসাৎ করার পর আরো টাকার দরকার বলে শিক্ষকদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকা। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাছ থেকে ৫০-৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু অধ্যক্ষ তদবিরের নামে আদায়কৃত টাকা আত্মসাৎ করার পর শিক্ষক কর্মচারীরা জানতে পারায় তাদের কোনো কাগজপত্রই সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেননি। ফলে তারা সরকারিকরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্বেচ্চায় অবসর গ্রহণ করতে থাকেন। এই অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে মামলা করলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বিষয়টি ডিজি অবগত হয়ে অধ্যক্ষ মজিবর রহমানকে সাসপেন্ড করে ওই কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক গাজী মন্নানকে কলেজ ইনচার্জের (অধ্যক্ষ) দায়িত্ব দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন