ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ শেখকে (৩৫) গুলি করে ও গলাকেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে শহরতলীর আকুয়া মড়লপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে আকুয়া মড়লপাড়া এলাকায় আজাদ শেখ ও ফরিদ শেখের পক্ষের মাঝে গোলাগুলি চলছিল। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ আজাদ শেখকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে তাকে গুলি ও গলাকাটা অবস্থায় স্থানীয় নাজির বাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, মহানগর যুবলীগের সদস্য আজাদ শেখ এক সময় ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানের ছেলে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তের অনুসারী ছিলেন।
এরপর তার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে আজাদ শেখ গ্রুপ বদল করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ইকরামুল হক টিটু’র গ্রুপে যোগ দেন। আর ফরিদ শেখ মন্ত্রীর ছেলের অনুসারী। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত দেড় মাস যাবত আকুয়া মোড়লপাড়া এলাকায় থেমে থেমে এই দুই পক্ষের মাঝে গন্ডগোল চলছিল। এরই জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র দাবি করেছে।
এই বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল দলীয় একটি পক্ষের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের দলের একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ দুই পক্ষকে গত কিছুদিন সামাল দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এজন্য দলের ওপর মহলের কিছু লোক দায়ী। আমি এই হত্যাকান্ডের জড়িতদের এবং মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু বলেন, একটি মহল আজাদ শেখকে ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটেছে। তারাই আজাদ শেখকে যুবলীগের পদে এনেছিল। আজাদ শেখ ওই মহলটির কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষরা ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে চিরতরে শেষ করে দিয়েছে। আমি এই হত্যাকান্ডের জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন