নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কাবিল হোসেন (৪৫) নামে ১৩ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন।
র্যাবের দাবি, নিহত কাবিল মাদক ব্যবসায়ী। কাবিল উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহ ওরফে শহিদুলের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই র্যাব সদস্য।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার মহিষভাঙ্গা এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পিস্তলের গুলির খালি খোসা, ২৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও দুটি টর্চলাইট উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্পের ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন জানান, রাতে র্যাবের একটি টহল দল বড়াইগ্রামের মহিষভাঙ্গা এলাকায় সড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় একটি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে চলে যায়। তাৎক্ষণিক ওই মোটরসাইকেলের গতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়। একই সময়ে ওই এলাকার মহিষভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে কিছু লোকের আনাগোনা দেখতে পাওয়া যায়। এ সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে টহল দল ওই স্থানের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হলে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের পর অন্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা একজনকে আহতাবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুই র্যাব সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস নিহত ব্যক্তির নাম কাবিল হোসেন নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, নিহত কাবিল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকসংক্রান্ত ১৩টি মামলা রয়েছে। জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক বিক্রেতা হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন