বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বলিয়ারদী ইউনিয়নের শিমূলতলা গ্রামে ইতি আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দিবাগত গভীর রাতে বাড়ির পাঁচ/ছয়শ গজ দূরে আমগাছের ডালে তার লাশ ঝুলে থাকার খবর পেয়ে বাজিতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তা উদ্ধার করে। গতকাল সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়। ইতি আক্তারের স্বামী সার্জেন্ট (অব:) জালাল মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী মো: সোহাগ মিয়া। তাদের ঘরে ইফাত নামে সাত মাসের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত একটার দিকে শিশু ইফাতের কান্নার শব্দ শুনে পাশের ঘরের লোকজন এসে দেখতে পায় ইতি আক্তার ঘরে নেই এবং দরজাটি খোলা। তারা আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে তার বাবার বাড়ি পৌর এলাকার দড়িকান্দি গ্রামে খবর দেয়। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজনরা শিমূলতলা গ্রামে গিয়ে মৃত মঞ্জু মিয়ার ছেলে মোক্তার হোসেনের বাড়ির সামনে ছোট একটি আমগাছের ডালে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এ ব্যাপারে থানার এসআই অলক কুমার দত্ত সাংবাদিকদের জানান, গৃহবধূ ইতি আক্তারের মৃত্যুটি রহস্যজনক। লাশ উদ্ধার করার সময় স্বামীর বাড়ির কোন লোকজনকে পাওয়া যায়নি।
শিশু হাফিজুল হত্যাকা-
ঘাতক নুপুরের দায় স্বীকার
বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা
বানারীপাড়ায় শিশু হাফিজুলকে আছড়ে হত্যা করেছে ঘাতক নুপুর দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। গত রোববার দুপুর সোয়া তিনটায় বরিশালের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম নুপুরের জবানবন্দী নেন। পরে আদালত নুপুর বেগমকে দুই শিশু কন্যাসহ জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। নুপুর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কান্নায় বিরক্ত হয়ে শিশু হাফিজুলকে আছাড় দেয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছিল। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই দিন রাত সোয়া ১১টায় হাফিজুলের মূত্যু হয়। এরপর থেকে নুপুর আত্মগোপনে যায়। পুলিশ বিভিন্ন কৌশলে ৪৪ ঘন্টার মধ্যে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজার থেকে গ্রেফতার করে এবং তাকে রোববার কোর্টে প্রেরণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন