নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
ইরি-বোরো রোপণে বৃষ্টির অভাব থাকলেও সামান্য বৃষ্টিতে কৃষকদের স্বস্তি ফিরে এসেছে। আর এ বৃষ্টি পেয়ে লকলকিয়ে বেড়ে উঠা সবুজের সমারোহে ভরে উঠেছে ইরি-বোরো ক্ষেতগুলো। বাতাসের দোলা আর আকাশের বৃষ্টি বোরোর চারাগুলো সতেজতায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখেও হাসি।
এবছর নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট ৭ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি- বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ করা হয়েছে আরও বেশি জমিতে। কৃষকরা জানায়, ইরি-বোরোর বীজতলা তৈরির সময় তীব্র শীতের কবলে পড়ে বীজতলা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা পলিথিনে মুড়িয়ে এবং সেচের ব্যবস্থা করে বীজতলা রক্ষা করা হয়। ফলে মৌসুমে বীজতলার কোন সংকট দেখা দেয়নি। তবে সেচের জন্য কৃষকদের গর্ত করে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে হয়েছে।
উপজেলার কামারপুকুর, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে বোরো ক্ষেতগুলো লকলকিয়ে বেড়ে উঠছে। কোথাও ধান গাছে থোঁড় বেড়িয়েছে। কোথাও বোরো ক্ষেতের ধান কাঁচা-পাকা রং ধারণ করেছে। নারী-পুরুষ শ্রমিকরা নিড়ানি ও রাসায়নিক সার ছিটানোর কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোমায়রা মন্ডল জানান, এবারে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন