তমদ্দুন মজলিস
ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী এবং ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এই দুই মণীষীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাহিত্য সভায় বক্তাগণ বলেন, সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী এবং ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন বাংলার সাহিত্য আকাশের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। উপমহাদেশের খ্যাতিমান সাহিত্যিক, অনল প্রবাহের কবি ইসমাঈল হোসেন সিরাজীর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তার সাহিত্য কর্মে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। মুসলমানদের আত্মপরিচয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার উৎসাহ ও প্রেরনা তার লেখনির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। তার শক্ত লেখনির মাধ্যমে এই উপমহাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা আন্দোলনে তরান্বিত করে এবং ইতিহাসে প্রথম কোনো কবির লেখা বাজেয়াপ্ত ও কবিকে কারারুদ্ধ করা হয়। বক্তারা সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সকল রচনা সম্ভার সংরক্ষন ও প্রকাশের জন্য বাংলা একাডেমীর কাছে অনুরোধ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সবসময়ই সাহিত্য কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। এম এ পাশ করার পরই তিনি বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির সম্পাদক হন। ১৯৪৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। তিনি উর্দু অভিযান প্রকল্পেরও সম্পাদক ছিলেন। তিনি অনেক বই লিখেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাষা ও সাহিত্য, বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত, দীওয়ানে হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম ও বিদ্যাপতি শতক ইত্যাদি।
গতকাল তমদ্দুন মজলিসের মহানগর কার্যালয়ে দুই বাংলার প্রখ্যাত ছড়াকার কবি মানসুর মুজাম্মিমের সঞ্চালনায় জনাব কবি শাহ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক ও প্রবীন সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সাহিত্যসেবী জনাব এম এ হান্নান। আলোচনা ও কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক জনাব কবি নাসির হেলাল, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ শামীম সিরাজী, কবি ফরিদ সাইদ, কবি সাঈদ জোবায়ের, কবি বেলায়েত পোখরাজ, কবি হৃদয় হাসান রতœ ও মুহাম্মদ সুজন মাহমুদ প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম সহযোগী সংগঠনের সাথে মতবিনিময় সভায় বলেন, ফিলিস্তিনে হত্যা ও দূতাবাস স্থাপনের জনক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা জারজরাষ্ট্র ইসরাইলকে প্রতিষ্ঠিত করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সাহায্য করছে। বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টিকারী অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্রকে একঘরে করে বয়কট এবং তাদের পণ্য বর্জন করতে হবে। ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে। তাই মুসলিম বিশ্বকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, নতুবা ইসরাইলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থামবে না ও বিশ্বে শান্তি আসবে না।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, নগর দক্ষিণের উপদেষ্টা ডা. দেলোয়ার হোসেন, যুবনেতা মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
সভাপতি আরো বলেন, ইসরাইল গায়ে পড়ে ফিলিস্তিনের সাথে ঝগড়া সৃষ্টি করছে। জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপন করে মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসের মূলহোতা আমেরিকা। জারজ রাষ্ট্র ইসরাইলকে মদদ দিয়ে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে রেখেছে। ফিলিস্তিনে গণহত্যা তাদের ইন্ধনেই করা হচ্ছে। বাইতুল মুকাদ্দস রক্ষায় বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধভাবে জিহাদের ডাক দিতে হবে। ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্য হতে মুছে দিতে না পারলে অশান্তি দূর হবে না।
তিনি ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের মাসুম শিশুদের হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন