বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া
বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার উদ্যোগে মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ)-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ.)কখনও অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। তিনি সারা জীবন ইসলামের জন্য কাজ করে গেছেন। একাজ করতে গিয়ে তিনি কখনও নেতৃত্বের লোভ করেননি, সব সময় ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। বক্তাগণ বলেন, তিনি রাজনীতি করেছেন একমাত্র ইসলাম কায়েমের জন্য ইসলামকে ব্যবহার করে ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতি তিনি করেননি। এছাড়া তিনি বাতিলের চ্যালেঞ্জ মুকাবিলায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে বিশাল সাহিত্য রচনা করেছেন। যে সাহিত্য ইসলামের বিভিন্ন দিক ও বিভাগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও একটি ইসলামী রাষ্ট্রের বিরাট পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।
৭ অক্টোবর পুরানা পল্টনের মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম রিচার্স ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে তালাবার সভাপতি আবদুর কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড.মওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব হাফেজ অধ্যাপক মওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দীন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নায়েবে আমির মওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা সাখাওয়াত হুসাইন, ঢাকা মহানগরী আমির মোস্তফা বশিরুল হাসান, তালাবায়ে আরাবিয়ার সাবেক নেতা মওলানা হাফেজ মওলানা ইবরাহীম, মওলানা মাহফুজুর রহমান, হযরত মওলানা আবুবকর সিদ্দিক কুড়িগ্রামী, এড.মওলানা ওমর ফারুক, মুহাম্মদ আনোয়ার হুসাইন, মোস্তফা আল মুজাহিদ প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্যজোট
(১) ২০ দলভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকীব এডভোকেট বলেছেন, কারবালার শিক্ষা হচ্ছে স্বৈরাচার, অন্যায় ও অর্ধমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। আমাদেরকে ধর্মহীন শিক্ষানীতি, রাষ্ট্রনীতি ও সমাজনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যেতে হবে। আল্লামা আতহার আলী (রহ.) মিলনায়তনে জোটের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাওলানা মুহাম্মদ শওকত আমীন পীরসাহেব বি-বাড়ীয়ার সভাপতিত্বে জোট আয়োজিত “কারবালার শিক্ষা-সত্যের পথে সংগ্রাম” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা কামরুজ্জামান রুকন, মাওলানা রিয়াদ আল আসাদ, মাওলানা নাসির আল ফরিদী, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াস আতহারী, সেক্রেটারী মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা নরুজ্জামান ইবনে তামিম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সত্যের সৈনিক ইমাম হোসাইন (রা.) স্বৈরাচার ইয়াজিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। কারবালার ঐতিহাসিক ঘটনা শিক্ষা দেয় সত্য ও ন্যায়ের প্রশ্নে বিভিন্নমুখী চাপ ও প্রাপ্তির প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার না করতে। হক ইনসাফ ও জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য মহান ইমাম ও তার সাথীরা যে সংগ্রাম করেছেন তা কিয়ামত পর্যন্ত সত্য ও মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা যোগাবে।
(২) ২০ দলভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান, নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুর রকীব এডভোকেট বলেছেন কওমী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সফল হলে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। এদেশ থেকে ইসলামী শিক্ষাকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য এদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করা সহজ হয়ে যাবে। আল্লামা আতহার আলী (রহ.) মিলনায়তনে ইসলামী শ্রমিক সমাজের চেয়ারম্যান ও ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাওলানা মহাম্মদ শওকত আমীন পীরসাহেব বি-বাড়ীয়ার সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাজ আয়োজিত “ইসলাম সম্মত শিক্ষানীতিই স্বাধীনতা রক্ষার ভিত্তি” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন-ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব মাওলানা কামরুজ্জামান রোকন, শ্রমিক সমাজের সহ-সভাপতি মাওলানা মহাম্মদ ইসমাইল বোখারী, মাওলানা আল আমিন নাসিরী প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মহীন জাতীয় শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন-২০১৬ বাতিল না হলে এবং কওমী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে সমগ্র জাতিই ধর্মহীন হয়ে যাবে। তারা বলেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতির কারণেই দেশে কোপানো সংস্কৃতি, চরমপন্থী ও উগ্রবাদী কর্মকা- চলছে, মানুষ অমানুষে পরিণত হচ্ছে। পিতা-মাতা ও শিশু হত্যাকারী তৈরি হচ্ছে, ইসলামী শিক্ষানীতিই মানুষকে আদর্শ মানবে পরিণত করতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন