আহ্ছানিয়া হজ মিশন
যুগের অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ আহ্ছানিয়া হজ মিশনের ২০১৭ সালের হজ পরিকল্পনা সভা সম্প্রতি আহ্ছানিয়া মিশন প্রধান কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট ও আহ্ছানিয়া হজ মিশনের চেয়ারম্যান আলহাজ কাজি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক আলহাজ ড. এম. এহ্ছানুর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের ডিএমডি আলহাজ তাওহিদুল ইসলাম, আহ্ছানিয়া হজ মিশনের উপদেষ্টা আলহাজ উবায়দুল হক, আহ্ছানিয়া হজ মিশনের গাইড ও প্রশিক্ষক আলহাজ হাফেজ মাওলানা হাফিজুর রহমান, আহ্ছানিয়া হজ মিশনের সমন্বয় কর্মকর্তা আলহাজ আহ্ছানুল করিম খান ও শাঈখ মুুহাম্মাদ উছমান গনী।
সভায় ২০১৬ সালের হজ কার্যক্রম মূল্যায়ন ও ২০১৭ সালের হজ পরিকল্পনার উপর বিস্তারিত আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হজ গমনেচ্ছুদের হজ প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয় এবং আগামী বছরের জন্য এখন থেকেই আহ্ছানিয়া হজ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের হজ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যোগাযোগ : ০১৭২৫ ৬৫ ৩৫ ৭৫, ০১৭৭২ ১১৮ ০৮১, ০১৮১৭ ২৯৩ ৯৫৮।
পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন. ইসলাম একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করে। ইসলামী শিক্ষা না থাকলে একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরিয়ে আনতে না পারলে জাতির চরম বিপর্যয় দেখা দিবে। এজন্য আমরা শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক দাবি করে আসছি। তিনি বলেন ইসলাম, দেশ ও মানবতান চরম দুর্দিন চলছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম চর্চার কোন ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায় দুর্দশাগ্রস্ত জাতিকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। জাতিকে নৈতিকতাহীন করার পেছনে ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী শিক্ষাআইন ও সিলেবাসই বেশি দায়ী। তাই জাতিকে চরম ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী সিলেবাস সংশোধন করতে হবে।
দাওয়াতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ৩দিনব্যাপী ২৩তম বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জুরাইন ইসলামী মহাসম্মেলন ও হালকায়ে জিকির কমিটি আয়োজিত রাজধানীর বুড়িগঙ্গা সেতু সংলগ্ন বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব সুলতান আহমদ খান ও পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। এতে অন্যান্যের মধ্যে বয়ান পেশ করেন চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিলাহ আল-মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মসজিদে আকবর কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর সাহেব খুলনা, ড. মাওলানা আফম খালিদ হোসাইন, অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান ওয়ালীউল্লাহ পীর সাহেব বরগুনা, মুফতি ইমাদুদ্দিন, মাওলানা মাসউদুর রহমান চাঁদপুরি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব বাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতি ওমর ফারুক, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, হাজী মোতাহার হোসেন, আজিজুল হক আজিজ, আলহাজ্ব বেলাল হোসেন আরিফ, অধ্যাপক ইউনুছ আহমাদ খান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। সর্বত্র লুটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দেশের দুর্নীতির সেসব চিত্র দেখে বর্তমান রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকা অবস্থায় বলেছিলেন, “প্রতি বছর দেশে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়, সে টাকা দিয়ে বছরে একটি করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব” রাষ্ট্রপতির উচ্চারণে সহজেই অনুমেয় যে, দেশে কি পরিমাণ দুর্নীতি ও লুটপাট হয়। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি মাল আত্মসাৎ মারাত্মক গুনাহের কাজ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম না থাকায় সর্বত্র এর প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়তে শুরু করেছে। পর্দার বিরুদ্ধে আইন করার পর এখন ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, অপহরণ, ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। গতকালও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোরকা পরিধানের কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
পীর সাহেব আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী পীর-মুরিদীকে হারাম বলে প্রচার করে কিন্তু তাদের ব্যক্তি জীবন ও আমলের অবস্থা খুবই খারাপ। একটি ভ্রান্ত গোষ্ঠী ইসলামকে সাধারণ মানুষের কাছে বিষিয়ে তুলছে। এতে করে ইসলামবিরোধী শক্তিগুলোই উপকৃত হচ্ছে। লা-মাজহাব সম্প্রদায় মুসলমানদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন