বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

বাংলাদেশ ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্ট

| প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

বাংলাদেশ ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্ট (বিআইএম) এর উদ্যোগে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ‘যেমন নির্বাচন চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শামসুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের সহসম্পাদক ও পাক্ষিক সবার খবর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান সিরাজী, ইসলামী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজী আমিনুল ইসলাম, ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আনাস বিন ইউসুফ প্রমুখ।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শামসুল হুদা বলেন, দেশের মানুষ নিরাপত্তা চায়, শান্তি চায়। বাক ও ব্যক্তির স্বাধীনতা চায়। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাদের হাতে এসব বিষয় নিরাপদ মনে করা হবে তাদের হাতেই ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। এখনো পর্যন্ত দেশকে গণতান্ত্রিক বলেই দাবী করা হয়, তাই সরকারের উচিত গণতন্ত্রের প্রতি ন্যূণতম মর্যাদা প্রদর্শন করে মানুষের ঘরে ঘরে গুম, খুন, আর লাশ উপহার না দিয়ে, ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম না করে বরং শান্তি, স্বস্তি ও আশার বাণী পৌঁছে দেওয়া। সরকারের সামনে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ এই যে, তারা রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা নিজ হাতে রেখেই বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনতে পেরেছে, তাই ক্ষমতায় থেকেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব এই সুযোগ প্রতিষ্ঠিত করা। জনগণ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে যদি সরকার কাঙ্খিত ভোট ও আসন নাও পায়, তাতেও সরকারের ভীত হওয়ার কিছু নেই। জনগণ তাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছে এর প্রতিদান তারা খুব শীঘ্রই পাবে। রাজনীতিতে তারা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে। দেশও বড় ধরণের অরাজকতা থেকে রক্ষা পাবে। অন্যথায়, জনগণের সামনে থেকে বৈধ পন্থায় সরকার পরিবর্তনের সকল পথ বন্ধ হয়ে গেলে যে পরিণতি বিভিন্ন দেশের হয়েছে বাংলাদেশেরও তাই হবে। এতে রাষ্ট্র বিব্রত হবে। জনগণও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইনসাফ সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার বলেন, নির্বাচন এলেই মুক্তিযুদ্ধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর মুক্তিযুদ্ধকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের আদর্শ ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুর যুদ্ধ হিসেবে উপস্থাপনের একটা অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। আসন্ন নির্বাচনে শাসকদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সেনানীদেরও আজ রাজাকার হিসেবে আখ্যা দিতে কুণ্ঠিত হচ্ছে না। এটা একটি জাতীয় সমস্যা, এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ভুমিকা স্বাধীনতার ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ইসলামী দলগুলোকে কমপক্ষে পুর্বের অবস্থানে কীভাবে তুলে আনা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের সহসম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার বলেন, আমরা ৯১, ৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ এর নির্বাচন দেখেছি। ২০১৮ এর নির্বাচনও দেখছি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এবারের নির্বাচনেই প্রথম দেখছি, আলেমদের প্রত্যক্ষ কোন ভূমিকা নেই। আলেমগণ এটা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না যে, অমুক মার্কায় ভোট দেন। এই অবস্থানটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান সিরাজী, ইসলামী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কাজী আমিনুল ইসলাম ও ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আনাস বিন ইউসুফ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন