পটুয়াখালীর পাংগাশিয় গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছালাম আকনের বাড়ির জমিতে বাজার থেকে কিনে আনা ফুটি খাওয়ার পর মাটিতে ফেলে দেয়া বীজ থেকে গাছে একটি ১৩ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের ফুটির ফলন হয়েছে। গতকাল দুপুরে ছালাম আকন ফুটিটি গাছ থেকে ছিড়ে পাংগাশিয়া মাদরাসার বাজারে নিয়ে এলে লোকজন ফুটিটি দেখতে ভিড় করে। ছালাম আকন ফুটিটি এক হাজার ৫০০ টাকা দাম চাইলে ওই বাজারে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা দাম ওঠে। ছালাম আকন বলেন, বিকেলে ফুটিটি তিনি লেবুখালীরহাটে নিয়ে যাবেন। বাজারের সবাই বলেন এত বড় ফুটি তারা কখনো দেখেননি।
ছালাম আকন জানান, মাস তিনেক আগে তার ভাই হারুন আকন মৌকরণ বাজার থেকে ১৫০ টাকায় ছয় থেকে সাত কেজি ওজনের একটি ফুটি কিনে আনে, তার ফেলে দেয়া বীজ থেকে এই গাছটি জন্মিয়ে তা থেকে মোট ৯টি ফুটি হয়। যার মধ্যে পাঁচ-সাত কেজি ওজনের চারটি, ৮-৯ কেজি ওজনের চারটি এবং সর্বোচচ ১৩ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ফুটি হয়। তিনি জানান, গাছে এখনো ছোট ফুটি রয়েছে। পেশায় কসমেটিকসের দোকান হলেও অবসর সময় শখের বসে বাড়ির পাশের জমিতে তিনি শাকসবজি চাষাবাদ করেন এবং মাটিতে তিনি ড্যাব সার ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হ্রদয়শ্বের দত্ত বলেন, ফুটি সাধারণত রবি মৌসুমের ফল এটা নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে চাষাবাদ হয়, বাজারে মার্চ-এপ্রিল মাস পর্যন্ত ফুটি পাওয়া যায়। ফুটি সর্বোচ্চ সাত-আট কেজি সাইজের হয়। কিন্তু ১৩ থেকে-১৪ কেজি ওজনের ফুটি বিরল, এটা হাইব্রিড জাতের হতে পরে, জমির উর্বরা শক্তি খুবই ভালো থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন