মাগুরায় প্রথম বারেরমত শুরু হয়েছে ভাসমান পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষ। অধীক উৎপাদন হবে এ আশায় দিনদিন যুবকরা এগিয়ে আসছে এ খাঁচা পদ্ধতির মাছ চাষে। জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীতে এ উদ্দেশ্যে স্থাপিত হয়েছে ৩০টি খাঁচা। ইতোমধ্যে মাছের পোনা অবমুক্ত করার মাধ্যমে এ কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু করা হযেছে। মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় উদ্যোক্তারা যৌথভাবে এ খাঁচা স্থাপন করে উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে।
প্রতি ১০টি খাঁচার জন্য সরকার থেকে দুই লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাবার ও অন্যান্য খরচ বাবদ আরো দুই লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের। এ পদ্ধতি সফল হলে এ এলাকায় আরো অনেকে খাঁচায় করে মাছ চাষে আগ্রহী হবেন। অনেক বেকার যুবকের হবে কর্মসংস্থান। ঘুরবে তাদের ভাগ্যের চাকা এ আশা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের।
আয়োজকরা জানান, মাগুরা জেলায় প্রতি বছর মাছের চাহিদা ১৭ হাজার মেট্রিক টন। এই মাছের চাহিদা পূরণে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি নিচ্ছে জেলা মৎস্য বিভাগ। খাঁচায় মাছ চাষে এর মধ্যে একটি। জেলায় মোট ৭০টি খাঁচা স্থাপনের মাধ্যমে বছরে অন্তত ১৪০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেহেতু নদীর পানিতে প্রচুর প্রাকৃতিক খাবার থাকে, সে কারণে মাছের জন্য কম খাবারে দ্রুত মাছের ওজন বৃদ্ধি পাবে। ফলে একদিকে লাভবান হবে মাছচাষিরা, সাথে সাথে দেশের মাছ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ পদক্ষেপ। জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মাছের ঘাটতি অনেকটা কমে আসবে। এ পদ্ধতিতে নদীতে প্রাকৃতিক পরিবেশে অধিক ঘনত্বে দ্রুত মাছের উৎপাদন সম্ভব। এর ফলে অল্প সময়ে অধিক মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে মাছের ঘাটতি মোকাবেলা করা সম্ভব। অন্যদিকে এর মাধ্যমে এলাকায় বেকারত্ব কমিয়ে আনা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন