নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরে গুম হওয়ার পাঁচ মাস পরেও বাক প্রতিবন্ধী মোঃ হায়দার আলী মোল্লার কোন সন্ধান মিলেনি। আসামীদের আটকের ব্যাপারেও পুলিশের ধীরগতি লক্ষ্য করা গেলেও বাক প্রতিবন্ধী হায়দার আলীকে উদ্ধারের েেচষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবী করছে পুলিশ। নাটোর সদরের গৌরিপুর গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী মোঃ হায়দার আলী মোল্লা (৩৬) গত বছরের ২৫ আগষ্ট থেকে নিখোঁজ হলে তার স্ত্রী মিনা বেগম বাদী হয়ে তাকে গুম করার অভিযোগে নাটোর থানায় মামলা করেন। পরিবারের লোকজন জানান, নাটোর সদর উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী মোঃ হায়দার আলী মোল্লা দীর্ঘদিন থেকে রাজমিন্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিবেশী রাজমিস্ত্রী আব্দুস সালাম ও রাজু পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরে ঘর তৈরির জন্য গত ২৫ আগষ্ট দুপুরের দিকে হায়দার আলীকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে হায়দার আলীকে আর পাওয়া যায়নি। খোঁজখুঁজির পর মোঃ হায়দার আলী মোল্লাকে না পেয়ে তার স্ত্রী মিনা বেগম হেড মিস্ত্রী আব্দুস সালাম ও একই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে রাজু এবং সালামের বাড়িওয়ালা একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে তার স্বামী মোঃ হায়দার আলী মোল্লাকে ডেকে নিয়ে গুম করার অভিযোগে নাটোর থানায় মামলা করেন। আব্দুস সালাম গৌরিপুর গ্রামের আবু তাহেরের বাড়িতে থেকে ওই এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করলেও সে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কাকনহাট এলাকার জনৈক আবু তলহা হকের ছেলে। মামলার প্রায় তিনমাস পরে প্রধান অভিযুক্ত আব্দুস সালামকে পুলিশ আটক করে। এঘটনার সাথে জড়িত আসামী মোঃ রাজু এবং মোঃ আবু তাহের এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের দু’জনকে আটক করতে পারেনি তবে তাদের আটক ও হায়দার আলীকে উদ্ধারের ব্যাপারে জানতে চাইলে নাটোর থানা পুলিশ জানায়, আসামীদের আটকসহ হায়দার আলীকে উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন