শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অন্ধকারে তদন্ত কর্মকর্তারা ৭ দিনেও অগ্রগতি নেই

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

প্রিমিয়ার ব্যাংকের বাড্ডা শাখায় অস্ত্রের মুখে ক্যাশ কাউন্টার থেকে অর্থ লুটের ঘটনায় অন্ধকারে তদন্ত সংশ্লিস্ট্র কর্মকর্তারা। গত ৭দিনেও জড়িতকে গ্রেফতার বা তার সম্পর্কে কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেননি তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা। অন্যদিকে মুখে কুলুপ এটেছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ফলে বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। অত্যন্ত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারনা করছেন তদন্তের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা।
তদন্তের সাথে জড়িত পুলিশ কর্র্মকর্তারা বলছেন, ওই শাখার ক্লোজ সার্কিট টিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়নি। সেন্ট্রালি তা মনিটরিং ও সংরক্ষণের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অন্যদিকে আশপাশের ভবনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হলেও ফুটেজগুলো ব্যাংকটির সদর দরজা পর্যন্ত কাভার করেনি। যে কারণে অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে অর্থ লুটের ঘটনা সম্পর্কে তথ্য পেতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান বলেন, মাত্র একজন অস্ত্রধারী সবাইকে জিম্মি করে কীভাবে টাকা নিয়ে গেলো, বিষয়টি সন্দেহজনক। সন্দেহের বাইরে ব্যাংকের কর্মকর্তারাও নন। সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত হচ্ছে।
ব্যাংক ডাকাতির ওই ঘটনার তদন্তের বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসি (অপারেশন) ইয়াসিন গাজী বলেন, আমরা এখনও অনেকটাই অন্ধকারে রয়েছি। তদন্তের জন্য সুনির্দিষ্ট যে তথ্য প্রয়োজন, তা পাচ্ছি না। ব্যাংকটির প্রত্যক্ষদর্শী কর্মকর্তারা একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছেন। ফলে গরমিল তৈরি হচ্ছে। কী ধরনের গরমিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ বলছেন, হাইট বেশি, কেউ বলছেন কম। কেউ বলছেন, গ্রে কালারের শার্ট, কেউ সাদা কালারের টি শার্ট। একজন লোক ঢুকে এতো কিছু ঘটিয়ে নির্বিঘেœ চলে গেলেন অথচ তার সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছি খুবই সাদামাটা। একমাত্র অস্ত্রধারী সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিম্মি করে টাকা নিয়ে গেলো, আবার যাবার সময় ওই ডাকাত ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত রাখার ডিভিআর যন্ত্রটিও নিয়ে গেলো। আসলে একজনের পক্ষে এমন ঘটনা ঘটানো কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, তদন্তের স্বার্থে ব্যাংকটিসহ ভবনের তিন নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ব্যাংকটির আশপাশের দোকানপাট ও ভবনের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করা হলেও সেগুলো ব্যাংকটির সদর দরজা পর্যন্ত কাভার করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে মূল অপরাধীকে শনাক্ত করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ, গত ২০ আগস্ট (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ব্যাংক লেনদেনের সময় এক ব্যক্তি ভেতরে ঢুকে ম্যানেজারের মাথায় পিস্তল ঠেকান। এরপর ব্যাংকের সব স্টাফকে ভল্ট রুমে ঢুকিয়ে ক্যাশ কাউন্টার থেকে ২৩ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দেন। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার (জেনারেল সার্ভিসেস ডিভিশন) রাহাত আলম বাদী হয়ে বাড্ডা থানা মামলা করেন। মামলা নং ১৮।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন