বগুড়ার সান্তাহার শহরের পাশে দমদমা গ্রামের হাজার বছরের ঐতিহ্য প্রাচীন মঠটিতে আর পূজা-প্রার্থনা হয় না। এখনো মঠটিতে হাজার বছরের পুরাতন কিছু মনকাড়া পোড়ামাটির নকশা সম্বলিত কারুকার্য নিয়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সংস্কারের অভাবে দিন দিন প্রায় বিলুপ্তি পথে ধাবিত হচ্ছে মন্দিরটি। এটি সম্রাট বাবরের শাসনামলের স্থাপত্য বলে অনুমান করা হয়। সংস্কার না হওয়ায় মঠটির বিভিন্ন স্থানে ফাঁটল দেখা দিয়েছে এবং হজার বছরের দুর্লভ নকশাগুলো প্রায় বিলীনের পথে। এই গ্রামে ঢুকতে প্রথমে এই মন্দিরটি দমদমা ভ্যান চার্জার স্টান্ডের উত্তর পাশে অবস্থিত মঠটি সবার নজরে পড়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, এ গ্রামে সনাতন ধর্মের লোকজন না থাকায় পাশ্ববর্তী সান্দিড়া প্রসাদখালি, কাশিমিলাসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন এসে পূজা-প্রার্থনা করত। বর্তমানে মন্দিরটিতে পূজা-প্রার্থনা করতে কেউ আর আসে না। সনাতন ধর্মের লোকেরা বাড়ির কাছে মন্দির পাওয়ায় এ মন্দিরের আর তেমন একটা পূজা-অর্চনার প্রয়োজন পড়ে না বলে জানিয়েছেন অনেকে।
গ্রামবাসীদের কাছে থেকে জানা গেছে, মঠটি এই গ্রামে ব্যাপক পরিচিত। এই মঠটি বহু বছর পরিত্যক্ত থাকায় গত সাত-আট বছর আগেও মঠের মাথার (গোলাকার ছাউনি) গর্তে বড় বড় পেঁচা বাসা বেঁধে থাকত। কিন্তু বর্তমানে ও পেঁচাগুলো আর চোখে পড়ে না। তখন পেঁচাগুলো দেখতে গ্রামের উৎসুক জনতা বিকেল হলেই মঠের নিচে ভিড় জমাত। এখন মন্দিরটিতে সেই পেঁচাও বসছে না। ফলে দিন দিন এটি বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন