ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা
ঢাকার ধামরাইয়ে চাঁদাবাজির পৃথক দুটি ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাওয়ালীপাড়া এলাকায় উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতির মালিকাধীন আহম্মদ এন্ড কোং নামক ইটভাটার ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেনের নিকট গত বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদা দাবি করে। এসময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে এলাকাবাসী ও ইটভাটার লোকজন চাঁদাবাজ উপজেলার বড়হিস্যা জালসা গ্রামের বাদল হোসেন, সাটুরিয়া উপজেলার বৈলতলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া ও একই উপজেলার কেন্দ্রেকপুর গ্রামের কাউয়ূম মিয়ার ছেলে আবদুল করিমকেক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় উপজেলার বড়হিস্যা জালসা গ্রামের বাদল হোসেন (২৪) পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইটভাটার ব্যবসায়ীক অংশীদার ফজলুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। এদিকে পৌরসভার বিজয় নগরে ‘সজাগ’ এনজিও’র পরিচালক আবদুল মতিনের নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে গত মঙ্গলবার ভবনের রাজমিস্ত্রি মোহাম্মদ আলীর নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ধামরাই পৌরসভার গোয়ারীপাড়ার শাহজাহান মিয়ার ছেলে রনি, নতুন দক্ষিণপাড়ার ডাক্তার শহিদুর রহমানের ছেলে তানভির, ছয়বাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে লিটন আহম্মেদ ও একই গ্রামের আরো একজন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তোফাজ্জল হোসেনকে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায় কেলিয়া ফারুকের পোলট্রি ফার্মের কাছে একটি ঘরে। পরে সেখানে তাকে মারধর করে। এসময় তার সাথে থাকা তিন হাজার টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে চার হাজার টাকা তাৎক্ষণিকভাবে দিলে তাকে ছেড়ে দেয়। গত বুধবার বাকি ৪৩ হাজার টাকা আনতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রনি ও তানভিরের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রিজাউল হক বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতাকৃত কাউকেই ছাড় দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। আটককৃতদের আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন