সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
লাল-সবুজের জাতীয় পতাকার রঙে রাঙানো রেলবহরের ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক দৌড়) শুরু হয়েছে। গত বুধবার সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে ১৩ কোচ বিশিষ্ট রেল যানটি। কোচগুলো ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের কাপুরথালা রেলকোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারত থেকে আমদানি করা এসব কোচ গত ২০ মার্চ ২০টিসহ চলতি মাসের ৪ এপ্রিল ৪০টি রেলকোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌঁছে। এর মধ্য হতে ১৩টি কোচ ট্রায়াল রানে অংশ নিচ্ছে। ট্রেনটির ট্রায়াল রানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী ফকির মোহাম্মদ মহীউদ্দিন। সূত্রটি জানায়, ভারত থেকে আমদানি করা কোচগুলো সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় প্রাথমিক পর্যক্ষেণ হয়েছে। ভারতীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে স্থানীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা, শ্রমিকরা যৌথভাবে কোচগুলোর কারিগরি খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ সময় কোচগুলোর বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি লক্ষ্য করেছেন তাঁরা। যা অপসারণের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সূত্রটির মতে, অধিকতর নিরীক্ষণের জন্য ট্রায়ালরান বিশেষ গুরুত্ব রাখে। সৈয়দপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৩৫৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রেলবহরটি পুনরায় সৈয়দপুর কারখানায় ফিরিয়ে আনা হবে। এরপরও যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে ভারতীয রেলওয়ে যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে দেবে বলে সূত্রটি জানায়। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) নূর আহাম্মদ হোসেন জানান, ট্রেনগুলো ট্রায়ালরান শুরু করেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ভারত থেকে ১২০টি কোচ আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০টি কোচ ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে। এসব সৈয়দপুর কারখানায় পর্যবেক্ষণ চলছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো কোচ ট্রায়ালরানে যাবে। এ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কোচগুলো রেলের ট্রাফিক বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে। পরে তা বিভিন্ন রুটে চলাচল শুরু করবে। রেলওয়ে শ্রমিক লীগ সৈয়দপুর কারখানা শাখার সম্পাদক মোখছেদুল মোমিন জানান, ভারত থেকে আমদানি করা কোচগুলো নিয়ে ঢাকা-রাজশহী রুটে তিনটি, খুলনা-ঢাকা রুটে দুইটি ও ঢাকা-কলকাতা রুটে একটি ট্রেনবহর চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত হবেন। তবে আমাদের দাবি উত্তরের চিলাহাটি-ঢাকা পথের নীলসাগর ট্রেনটির দ্বিতীয় বহর (ডাবল র্যাক) চালু করা হলে এ অঞ্চলের রেল যাত্রীরা উপকৃত হবেন। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এ রুটে ডবল ট্রেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।
পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ
মোটা অংকের ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ওয়ান সেভিং এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের পরিচালক দাদন খাঁন। তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৯ এপ্রিল সকালে ছোট ভাই মিন্টু খাঁনের সঙ্গে মোটরসাইকেল ও কার পার্কিং নিয়ে আমার কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এরই প্রেক্ষিতে সে সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজিজ বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য পরের দিন রাতে আমাকে থানায় ডাকেন। আমি তাঁর কথা মত থানায় গেলে তিনি আমার কাছ থেকে চার লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় ওসি আমিরুল ইসলামের নির্দেশে আমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি সত্যতা যাছাইয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম এবং এসআই আজিজ ঘুষ দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মামলার আর্জি মতে তাকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন