ময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং গফরগাঁও উপজেলায় পৃথক ঘটনায় এক যুবক ও এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক স্থানে এ দু’টি খুনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের ডালিয়া বিলে একদল দুর্বৃত্ত দেলোয়ার হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে। সে স্থানীয় মোবারকপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ডালিয়া বিল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা আব্দুল বারেক জানান, ডালিয়া বিলে রাতে মাছ ধরতে গিয়েছিল দেলোয়ার। কিন্তু পরে সে আর বাড়ি ফিরেনি। সকালে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে ডালিয়া বিলে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের হোসেন সিদ্দিকির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। এসময় নিহতের পাশে পরে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও জুতা উদ্ধার করে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি রিপন চন্দ্র সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ হত্যার রহস্য উৎঘাটন করা হবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
অপরদিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় চোর সন্দেহে রিয়াজ (১৪) নামে এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে হাত ও পা বেঁধে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উথুরী-ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াজ ঘাগড়া-উথুরী-ছিপান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। সে উথুরী গ্রামের সৌদি প্রবাসী সাইদুর রহমান শাহীনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার উথুরী-ঘাগড়া টাওয়ার মোড় বাজারে আশরাফুলের মনিহারী দোকানের ‘তালা ভাঙার চেষ্টার অপরাধে স্কুলছাত্র রিয়াজকে আটক করে একই বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল, তার ভাই কামরুল ও প্রতিবেশী রশিদ।
প্রত্যক্ষদর্শী উথুরী গ্রামের ইমন ও মোতালেব জানায়, বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল ও তার কয়েকজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে রিয়াজকে বাজারের পাশে একটি গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক পেটায়। কিন্তু কিশোর রিয়াজ চিৎকার করে জান ভিক্ষা চাইলেও পাষণ্ডের দল পিটিয়ে রিয়াজের মৃত্যু নিশ্চিত করে।
গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন