ময়মনসিংহে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধাওয়ায় কমপক্ষে ২৫জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দলীয় কার্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ কাদির, সুরুজ, কায়ছার, কর্মী
আলফাজ উদ্দিন সজীব, আরিফ,সিজার,বাবু, মোস্তাক ,সামাদ, শামীম, পারভেজ, শাকিল, মুন্না, রাব্বি, সুমন মিয়া, মারুফ, মুক্তা, মাহামুদ, পারভেজ, নায়িম, মাহমুদ, সৌমিক, নাদিম, রিফাত, বাবু, পল্লব, আকাশ প্রমুখ।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহাবুর রহমান রানা জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাবার পথে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ধাওয়া দেয়। এতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে অনেকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানাযায়, সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রানা এবং সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ রায়হানের নেতৃত্বে বিশাল এক মিছিল দলীয় কার্যালয়ে যাবার পথে নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। একই সময়ে মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নাইমুল করিম লুইন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিনের নেতৃত্বে অপর একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ে আসার আগেই পুলিশের ধাওয়া ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে নগরীর রেলী মোড় এলাকায় উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ সামলমান ডুননের নেতৃত্বে মিছিল করেছে ছাত্রদল। এ মিছিলে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হক টুটুল উপস্থিত ছিলেন।
জানাযায়, দুপুর ১২টায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর মাহমুদ আলমের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা কার্যালয়ে অবস্থায়। এ সময় র্যাব-ডিবি ও পুলিশের একাধিক টিম তাদেরকে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে। পরে তারা জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের বাসায় সাংবাদিকদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তবে দলীয় কার্যালয়ে পুলিশ কর্মসূচী পালন করতে না দিলেও শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ভাবে মিছিল করেছে কোতোয়ালী বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
ঘঁনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ জানান, অনুমতি নিয়েই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচী পালনের জন্য দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে দলীয় কার্যালয়ে বসতে দেয়নি। উল্টো লাঠিচার্জ করে অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে।
তবে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, বিএনপির দাবি সঠিক নয়, পুলিশ কোন লাঠিচার্জ করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন