সাভারের আশুলিয়ায় বন্ধুদের সাথে বংশী নদীতে গোসল করতে নেমে নদীর প্রবল স্রোতে তলিয়ে গিয়ে নিহত হয়েছে দুই শিক্ষার্থী। স্থানীয় জেলে ও ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ডুবুরী দলের সহায়তায় নিহতদ্বয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থী সোহাগ খন্দকারের লাশ স্থানীয় জেলেরা জাল ফেলে উদ্ধার করেছে। পরে বেলা ২টায় ডিইপিজেডের দমকল বাহিনীর ডুবুরি সদস্যরা তলিয়ে যাওয়া নিহত মাসুদের লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত সোহাগ খন্দকার আশুলিয়ার কাইছাবাড়ির এলাকায় সিরাজুল খন্দকারের ছেলে এবং সে জে এল মডেল স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অপর নিহত শিক্ষার্থী মাসুদ হোসেন একই এলাকায় ইকবাল হোসেনের ছেলে আইডিয়াল মডেল স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যেক্ষদর্শী জিল্লুর হোসেন জানান, জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ৮ শিক্ষার্থী আশুলিয়ার ডগরতলী এলাকার বংশী নদীতে গোসল করতে নামে। সেখানে নদীর স্রোতে তলিয়ে যায় সোহাগ ও মাসুদ। তাদের অন্যান্য সহপাঠীরা সাতরিয়ে ডাঙ্গায় ওঠতে পারলেও সোহাগ ও মাসুদ ওঠতে পারেনি। পরে স্থানীয় জেলেরা প্রথমে নদীতে জাল ফেলে তাদের খুঁজতে থাকেন। এরপর ডিইপিজেডের দমকল বাহিনীর ডুবুরিদলকে খবর দেয়া হয়।
তবে ডুবুরী আসার আগেই জেলেরা সোহাগের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। পরে বেলা দুইটার দিকে ডুবুরি দলের সদস্যরা মাসুদের লাশ উদ্ধার করে।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া জানান, ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর সোহাগের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন