হঠাৎ করে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে গতকাল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে হাজির করা হয়। স্যাঁতস্যাঁতে কারাগারে দীর্ঘদিন থাকায় অসুস্থ খালেদা জিয়া হুইল চেয়ার থেকে উঠতেই পারেননি। তাকে বাসানোর জন্য আদালত যে চেয়ারের অবস্থা করে সেটা খালিই পড়ে থাকে। অসুস্থ অবস্থায় আদালতে নিয়ে আসায় উদ্বেগ-অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘এখানে ন্যায়বিচার নেই। যা ইচ্ছে তাই সাজা দিতে পারেন। যত খুশি সাজা দিতে পারেন। আমি অসুস্থ। বারবার আদালতে আসতে পারবো না। আর এভাবে এক নাগারে বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে। আমার সিনিয়র কোনো আইনজীবী আসেনি। এটা জানলে আমি আসতাম না’। খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সংবাদ সম্মেলন করে জানান, অসুস্থ বেগম জিয়াকে জোর করে আদালতে হাজির করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ জজ আদালত-৫ এ হাজির করা হলে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল ছিল মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন দিন। আধা ঘণ্টা আদালতের কার্যক্রম চলার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা না থাকায় শুনানি মুলতবি করে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করে দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি এতদিন চলছিল বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কারা অধিদপ্তরের মাঠে বিশেষ এজলাসে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে আদালত ঘোষণা করে সেখানেই চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি করার নির্দেশ দেন। এ কারাগারেই আরেকটি ভবনের দোতলার একটি কক্ষে গত ৭ মাস ধরে বন্দি রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক তাকে পাঁচ বছর কারাদন্ড দেন। ওই মামলায় তিনি জামিনে থাকলেও অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
খালেদা জিয়া অসুস্থ, অথচ কথাবার্তায় দেখা গেছে দৃঢ়তা। গোলাপী রঙের শাড়ি পরিহিত বেগম জিয়ার গাড়ে জড়ানো ছিল সাদা চাদর। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে নিজের অবস্থার কথা তুলে ধরেন। বেগম জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির করার ঘটনা গতকাল ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। সর্বত্রই বেগম জিয়াকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাটে-মাঠে-ঘাটে, অফিস আদালত, বাস- ট্রেন সবখানে মানুষকে বলাবলি করতে শোনা যায়, অসুস্থ অবস্থায় জোর করে এভাবে আদালতে নেয়া উচিত হয়নি। কেউ কেউ খালেদা জিয়ার কারা মুক্তি কামনা করে দোয়া দরুদও পড়েন।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেছেন, কারাগার কখনো প্রকাশ্য আদালত বলে বিবেচিত হতে পারে না। এটি হলে তা হবে আইনের পরিপন্থী। হুইল চেয়ারে জোর করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে স্থপিত আদালতে হাজির করা হয়। কারাগারের ভেতরে আদালত বসানো সংবিধান পরিপন্থী বলে দাবি করেন বিএনপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আর দুদকের আইনজীবীরা বলেছেন, বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
যেমন ছিল আদালত:
নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের মূল ফটক দিয়ে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় ডান দিকে ৭ নম্বর কক্ষে বসানো হয় এই অস্থায়ী আদালতের এজলাস। সেখানে প্রবেশ পথে ডান পাশের একটি কক্ষকে বানানো হয় বিচারকের খাস কামরা। এজলাস লাল কাপড়ে মুড়ে বিচার কাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়। বিচারকের চেয়ারের বাম পাশে তৈরি করা হয় আসামির কাঠগড়া, তার সামনে রাখা হয় সাদা কাপড়ে মোড়ানো টি টেবিল আর একটি চেয়ার। উল্টো দিকে সাক্ষীর কাঠগড়া। আর সামনে প্রসিকিউশনের বসার ব্যবস্থা। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বসার জায়গা হয়েছে বিচারকের মুখোমুখি। আর এজলাসের সামনে পেশকারের বসার জায়গা। গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান খাস কামরায় যান। এর পরপরই দুই পুলিশ সদস্য মামলার নথিপত্রে একটি ট্যাঙ্ক পৌঁছে দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সকাল ১০টার দিকেই আদালতকক্ষে হাজির হন। দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, আবদুল্লাহ আবু, শাহআলম তালুকদারকে আদালতে তাদের নির্ধারিত জায়গায় বসে থাকতে দেখা যায়।
তবে খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবীকে কারাগারের অস্থায়ী আদালতে দেখা যায়নি। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা না এলেও ঢাকা বারের সভাপতি বিএনপিপন্থি আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান পর্যবেক্ষক হিসেবে আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানকে আদালতের কার্যক্রম শুরুর আগেই আসামির কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। সোয়া ১২টার দিকে কারাকক্ষ থেকে প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসা হয় আদালত কক্ষে। আসামিদের কাঠগড়ার সামনে, যেখানে খালেদা জিয়া হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন। তার পাশেই টি টেবিলে ছিল টিস্যু আর পানি। বেগম জিয়াকে কয়েকবার টিস্যুতে মুখ মুছতে দেখা যায়। খালেদা জিয়াকে আদালত কক্ষে হাজির করার পরপরই বিচারক মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। আধা ঘণ্টারও কম সময় আদালতের কার্যক্রম চলার পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা না থাকায় শুনানি মুলতবি করে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করে দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ।
শুনানিতে যা হল
আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে প্রথমে বক্তব্য দেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল। মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং নতুন করে আদালতের স্থান নির্ধারণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে কাজল আদালতকে জানান, এই মামলায় প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মামলার দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্যেই প্রায় ৯ মাস ধরে শুনানি বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের এই স্থানে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আসামি খালেদা জিয়ার আইনজীবীর কাছে প্রজ্ঞাপনের কপি পাঠানো হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবেও তাদের ফোন করে জানিয়েছি। এছাড়া মিডিয়ার মাধ্যমে সকলকে অবহিত করা হয়েছে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এখন আদালতে উপস্থিত নেই। এই অবস্থাতেই বিচার কার্যক্রম শুরু করতে আদালতের কাছে আর্জি জানান এবং মুন্না ও মনিরুলের কাছে জানতে চান তাদের আইনজীবীরা কোথায়। এরপর বিচারক বলেন, যেহেতু তারিখ নির্ধারিত ছিল, আইনজীবীরা উপস্থিত হননি। তাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য কোর্ট এক ঘণ্টা মুলতবি করা হচ্ছে।
এসময় ঢাকা বারের সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান এ সময় দাঁড়িয়ে বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে রাতে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা কেউ আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে অবহিত নন। এ কারণে তারা সবাই বকশীবাজারের আদালতে গেছেন। আমি একজন অবজারভার হিসাবে এখানে এসেছি। আর আমাদের সবার ফোন বাইরে রেখে দেয়া হয়েছে। এখান থেকে যোগাযোগ করাও সম্ভব না। একজন অবজারভার হিসাবে আমার মনে হয় তারিখ পেছানোই যৌক্তিক হবে। আদালতের পরিস্থিতিও বিচার কার্যক্রম শুরুর মত নয় মন্তব্য করে গোলাম মোস্তফা বলেন, ৫০ ফুট বাই ২০ ফুটের এই ছোট জায়গার অবস্থাও তেমন ভালো না। আইনজীবীসহ সবার বসার জায়গা সেভাবে নাই। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে ও জায়গায় বিচার কার্যক্রম চালানো হোক।
এসময় বিচারক আখতারুজ্জামান তখন বলেন, প্রজ্ঞাপনতো কালকে জারি হয়েছে। আর মামলার ডেটতো আগেই ছিল। তারিখ পেছাতে হলেও তো আইনজীবীদের পিটিশন লাগবে। এ সময় কোনো আসামির আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় এবং যোগাযোগ সম্ভব না বলে শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণের কথা বলেন ঢাকা বারের সভাপতি।
খালেদা জিয়ার বক্তব্য:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার আইনজীবীদের কেউতো এখানে নেই। আমার শারীরিক অবস্থাও ভালো না। ডাক্তার বলেছে, এভাবে বসে থেকে বেশিক্ষণ পা ঝুলিয়ে রাখলে ফুলে যেতে পারে। হাতেও প্রচন্ড ব্যথা। এ অবস্থায় আদালত চলতে পারে না। বিচারকের উদ্দেশে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় তার পক্ষে বার বার আদালতে আসা সম্ভব নয়। বিচারক যতদিন ইচ্ছা সাজা দিয়ে দিতে পারেন। খালেদা জিয়া আরো বলেন, সাজাইতো হবে, ন্যায়বিচার নেই এখানে। বিচারকাজ চলাকালে আদালতে পুরাটা সময় কাঁপছিলেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি বাম হাত নাড়াতে কষ্ট পাচ্ছেন। এরপর আইনজীবী গোলাম মোস্তফা এবং কাজলের কিছু বক্তব্য শোনেন বিচারক। পরে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তিন আসামির জামিন বাড়ানোর জন্য আবেদন জমা দিতে বলেন তিনি। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে কারা কক্ষে ফেরার সময় সাংবাদিকদের সামনেও কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, এখানে আদালত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে ৭দিন আগে, গেজেট জারি কালকে করা হল কেন? আদালত বসল, আমার সিনিয়র আইনজীবীরা জানে না। তাহলে আদালত চলে কীভাবে? নিজের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে ৭৩ বছর বয়সী এই আপোষহীন নেত্রী বলেন, আমার বাম পা ঠিকমত রাখতে পারি না, প্যারালাইজড হয়ে যাওয়ার মত। বাম হাতেও অনেক ব্যথা। কেমন আছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার বাম পা ও হাত প্রায় প্যারালাইজড হয়ে গেছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
শুনানিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে কারাগারের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এছাড়া আদালত এলাকায় সাংবাদিকদের ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। বিচার প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের আশেপাশে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কারাগারের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় আশপাশের দোকানপাট। বকশিবাজার, নাজিমুদ্দিন রোডের মাক্কুশা মাজারের কাছে, চকবাজার মোড়ে, বেগমবাজার মোড়ে ও আবুল হাসনাত রোডে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা। বিভিন্ন স্থানে পথচারীদের তল্লাশি করা হয়। কারাগারের পাশেই প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যা বলেন
কারাগারের ভেতরে আদালত বসানো সংবিধান পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বকশীবাজার আদালত চত্বরে জড়ো হয়ে এমন মন্তব্য করেন তারা। সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আদালত বকশীবাজার কারা অধিদফতরের মাঠ থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের প্রতিবাদ জানিয়ে আদালত এলাকায় জড়ো হন তারা। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলেন, আইনি বিধি-বিধানের বাইরে তারা যাবেন না। যদি আদালত স্থানান্তর হয়ে থাকে তাহলে আদালতকে সেখানে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানাতে হবে। তখনই তারা কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবেন কিনা- সেটি বিবেচনা করবেন। ১১টার দিকে বকশীবাজার আদালত এলাকায় উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা জানান, তাদের জানা মতে, এখানেই বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে তারা বকশীবাজারে এসেছেন। সরকারি প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে তারা বলেন, ওই প্রজ্ঞাপন বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থী। এছাড়া আদালত স্থানাস্তর হলে অপর পক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিএনপির আইনজীবীরা আদালতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাননি। এ কারণেই সবসময় যেখানে মামলার বিচারকাজ পরিচালিত হয় সেখানেই সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত হয়েছেন। আদালত তাদের কাছে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানাস্তরের বিষয় জানালে আইনজীবীরা বিবেচনা করবেন নোটিশটি আইনানুগ কি না- যোগ করেন তারা।
মামলা বৃত্তান্ত
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের পর শুরু হয় বিচার। মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী এবং হারিছের তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। দীর্ঘদিনেও বিচার শেষ না হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা খালেদার আইনজীবীদের সময়ক্ষেপণকে দায়ী করে আসছেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের ইন্ধনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে এই মামলাটি করা হয়েছে। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন